অভাবের তাড়নায় বড়ছড়া শুল্ক ষ্টেশনে নৈশপ্রহরীর আত্মহত্যা

julonto-hang-las-uddhar-PBA

পিবিএ, সিলেট: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্তবর্তী বড়ছড়া স্থল শুল্ক ষ্টেশনে অভাবের তাড়না সইতে না পেরে জহুর আলী (৫০) নামে এক নৈশপ্রহরী আত্মহত্যা করলেন। শনিবার সন্ধায় নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত জহুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বড়ছড়া গ্রামের মৃত গোলাম রসুলের ছেলে তার স্ত্রী সহ এক ছেলে ও ছয় মেয়ে রয়েছে।

তাহিরপুর থানার ওসি নৈশপ্রহরীর লাশ উদ্যার ও অভাবের তাড়নায় আত্মহননের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন জানান, উপজেলার বড়ছড়া স্থল শুল্ক ষ্টেশনে মেসার্স সোহেল এন্টারপ্রাইজ নামে এক কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষ থেকে শনিবার দুপুরে নৈশ প্রহরী জহুর আলীর ঝুলন্ত লাশ উদ্যার করে পুলিশ। নিহত জহুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী জানান, গত প্রায় ৫ তেকে ৬ বছর ধরে আমার হতদরিদ্র বাবা কয়লা আমদানিকারক ডিপোতে যৎসামান্য বেতনে নৈশপ্রহরীর কাজে কর্মরত ছিলেন। আমি, আমার স্ত্রী সন্তান সহ পৃথক থাকি। আমার একবোনকে অন্যত্র বিয়ে দেয়া হলেও বাবা-মা ও আমার অপর নাবালক পাঁচ বোন এ সাতজন একত্রেই বসবাস করতেন।

যৎসামান্য বেতনে সংসারের সবার ভরণপোষণ ও লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যেতে গিয়ে বাবা গত কয়েকমাস ধরেই নানা রকম হতাশায় ভুগছিলেন। আমাদের ধারণা আমার হতদরিদ্র বাবা অভাবের তাড়না সইতে না পেরে ঠিকমত পরিবারের সদসদের ভরণপোষণ ও লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যেতে না পারার কারনে গলায় রশী দিয়ে আত্¦হত্যা করেন। উপজেলার বড়ছড়া শুল্ক ষ্টেশনের সোহেল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. জাহের আলী জানান, শনিবার সকালে আমার ডিপোর অফিস কক্ষের আড়ার (ধর্ণা) সাথে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ দেখে আমি থানা পুলিশকে জানাই। শনিবার রাতে ওসি মো. আতিকুর রহমান বলেন, নিহতের জৈষ্ট সন্তান মোহাম্মদ আলী এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
হাবিব সরোয়ার আজাদ/পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...