পিবিএ ডেস্কঃ হেপাটাইটিস একটি সংক্রামক রোগ যা লিভারকে আক্রমণ করে। অনেক সময়ে সংক্রমণের কোনও লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তবে অনেক সময়ে নানা লক্ষণ দেখা যায়, যদিও তা অনেকসময়ে চোখ এড়িয়ে যায়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে ৩০ থেকে ১৮০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কারও ক্ষেত্রে হেপাটাইটিসের প্রভাবে লিভার সিরোসিস বা ক্যানসারও হতে পারে। জানা গিয়েছে, হেপাটাইটিসের ভাইরাস রক্ত অথবা দেহ নিঃসৃত নানা তরলের মাধ্যমে ছড়ায়। হেপাটাইটিসের প্রভাবযুক্ত এলাকায় মাদক ও অসুরক্ষিত যৌনজীবনের ফলে এই রোগ ছড়াতে পারে। এছাড়া রক্তের আদান-প্রদান, ডায়লিসিস, আক্রান্তের সঙ্গে থাকাতেও এই রোগ হতে পারে। হেপাটাইটিস রোগ সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এশিয়া ও সাব সাহারান আফ্রিকায়। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। আগের চেয়ে পরিস্থিতি কিছুটা বদলালেও একেবারেই স্বাভাবিক হয়নি। একঝলকে দেখে নিন হেপাটাইটিসের কোন কোন লক্ষণগুলি নজরে পড়লে অবশ্যই সাবধান হবেন।
খিদে কমে যাওয়াঃ হেপাটাইটিসের লক্ষণ দেখা দিলেই খিদে ভাব অবধারিতভাবে কমে যাবে। দীর্ঘক্ষণ না খেলেও আপনার খিদে পাবে না।
জন্ডিসঃ হেপাটাইটিসের ফলে ত্বক হলদে হতে শুরু করবে। এছাড়া চোখের সাদা অংশও হলুদ হয়ে যাবে। এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ক্লান্তিঃ লিভার আক্রান্ত হলে তা গ্লুকোজ উৎপাদন করতে পারে না যা শরীরকে এনার্জি প্রদান করে। যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্তি চলে আসে।
হালকা জ্বরঃ অনেক সময়ে হালকা জ্বর থাকলে তা সাধারণ জ্বর ভেবে আমরা পাত্তা দিই না। হেপাটাইটিস হলেও কিন্তু জ্বরের লক্ষণ দেখা দেয়।
গাঁটে ব্যথাঃ হেপাটাইটিস সি-তে আক্রান্ত হলে শরীরের বিভিন্ন অংশের গাঁটে, মাংসপেশিতে ব্যথা হয় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
গা গুলিয়ে ওঠা ও বমি ভাবঃ অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া হেপাটাইটিসের সংক্রমণকে ডেকে আনার জন্য অনেকাংশে দায়ী। এমন হলে গা গোলানো, বমি ভাব ইত্যাদি হতে পারে। এমন অবস্থায় বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
পেটে ব্যথাঃ অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে পেটে অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্স হতে পারে এবং পেটে ব্য়থা হতে পারে। হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
গাঢ় রঙের প্রস্রাব ও বর্ণহীন মলঃ হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হলে খেয়াল রাখবেন মূত্রের রঙ গাঢ় রঙের হবে। অন্যদিকে মলের রঙ হবে ফ্যাকাসে। এমন ঘটনা লক্ষ্য করলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পিবিএ/এমআর