পিবিএ ডেস্কঃ আমরা প্রায় প্রতিদিন অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি আলু খেয়ে থাকি। এই আলুর পুষ্টিগুণ অনেক। আলুতে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ আছে। এছাড়াও আলুর খোসাতে আছে ভিটামিন ‘এ’, পটাশিয়াম, আয়রন, অ্যান্টি-অক্সাইড, ফাইবারসহ প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। আলু আমরা বিভিন্ন ভাবে খেতে পারি।চলুন দেখে নেওয়া যাক –

আলুর পাকোড়া–উপকরণ :আলু আধা কেজি,বেসন আধা কাপ,চালের গুঁড়ো এক কাপের ৪ ভাগের এক ভাগ,পেঁয়াজ কুচি এক কাপের ৪ ভাগের এক ভাগ,মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ,ধনেপাতা কুচি সামান্য,হলুদ গুঁড়ো এক চা চামচের ৪ ভাগের এক ভাগ,লবণ পরিমাণমত,তেল ভাজার জন্য,পানি এক কাপের ৪ ভাগের এক ভাগ।প্রস্তুত প্রণালী :আলু মিহি করে ভাজির মতো কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। তেল বাদে সব উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে আলু কুচির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে।এরপর প্যানে তেল গরম করে আলুর মিক্সডগুলোকে পেঁয়াজুর আকারে লাল করে ভেজে নিতে হবে।সুন্দর করে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

আলুর চপ–উপকরণ :আলু আধা কেজি,ডিম ৪টি,মাংস কিমা আধা কাপ,আদা এবং রসুন পেস্ট সামান্য,পেঁয়াজ ৪টি,কাঁচামরিচ ৫-৬টি,পুদিনা পাতা ইচ্ছেমত,তেল ভাজার জন্য,লবণ পরিমাণমত,বিস্কুট গুঁড়া ৫-৬টি।প্রস্তুত প্রণালী :মাংস কিমা সামান্য, আদা এবং রসুন পেস্ট লবণ দিয়ে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে। আলু সিদ্ধ করে ভালোভাবে ভর্তা করে নিতে হবে।৩টি ডিম ভালোভাবে সিদ্ধ করে প্রতিটি ডিম ৪ ভাগ করে ১২ টুকরো করতে হবে। এখন আলু ভর্তার সঙ্গে মাংসের কিমা, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, পুদিনা পাতা কুচি এবং লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে ১২ ভাগে ভাগ করে নিতে হবে।ডিমের টুকরোগুলোকে প্রতিটি আলুর ভাগের ভেতরে ভরে লম্বা করে সেপ দিতে হবে। এবার একটি ডিম ভালোভাবে ফেটে নিতে হবে।এখন প্রতিটি চপকে ডিমের গোলায় ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়োয় গড়িয়ে নিতে হবে। এই চপগুলো ফ্রিজে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে।এরপর প্যানে তেল গরম করে একে একে সব বাদামি করে ভাজুন এবং সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ফিঙ্গার চিপস–উপকরণ :আলু ১ কেজি (বড় সাইজ),হলুদ গুঁড়ো আধা চা চামচ,মরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ,লবণ পরিমাণমত,তেল ভাজার জন্য,বিট লবণ স্বাদ অনুযায়ী।প্রস্তুত প্রণালী :আলুগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে কাটার মেশিনে পাতলা পাতলা করে কেটে নিতে হবে। (বঁটি দিয়েও কাটা যেতে পারে)। কাটা আলুগুলো আবার ধুয়ে অল্প পানি, লবণ, হলুদ এবং মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভাপ দিয়ে নিতে হবে।এরপর আঝরিতে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। পানি ঝরে গেলে পাতলা এবং পরিষ্কার কাপড় বিছিয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।(এভাবে আলু শুকিয়ে অনেক দিন পর্যন্ত রাখা যায় এবং ইচ্ছেমত ভেজে খাওয়া যায়)। প্যানে তেল গরম করে শুকানো দিয়ে ভেজে নিতে হবে।গরম তেলে আলু দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তুলে নিতে হবে। বৃষ্টির দিনে এই আলুভাজা খেতে খুবই ভালো লাগে।

আলুর পরোটা–উপকরণ :৬ খানি পরোটার জন্য ময়দা,আলু ৪টি,ধনেপাতা এক আঁটি,লবণ পরিমাণমত,১ চা-চামচ গুঁড়া মরিচ,একটু পাতিলেবুর রস।প্রস্তুত প্রণালী :আলুর খোসা ছাড়িয়ে চটকে এর সঙ্গে গুঁড়া মরিচ, লবণ ও সরু করে কুচানো ধনেপাতা চটকে একটু পাতিলেবুর রস দিন।নুন ও ময়দা দিয়ে পরোটার জন্য মাখুন এবং ৬টি লেচি তৈরি করুন।প্রত্যেকটি লেচির মাঝে আলুর পুর দিয়ে বেলে ঘি বা তেলে ভেজে নিন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন।

আলুর ফ্রাই–উপকরণ :আলু ৩টি (বড় সাইজ),বেসন ৩ টেবিল চামচ,কর্ন ফ্লাওয়ার বা চালের গুঁড়ো ২ চা চামচ,হলুদ গুঁড়ো সামান্য,ধনে গুঁড়া সামান্য।মরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ,লবণ পরিমাণমত,তেল ভাজার জন্য,বিট লবণ স্বাদ অনুযায়ী।প্রস্তুত প্রণালী :আলুগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে কাটার মেশিনে পাতলা পাতলা করে কেটে নিতে হবে। (বঁটি দিয়েও কাটা যেতে পারে)।এরপর আঝরিতে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।এরপর একটি বাটিতে সব উপকরণ পানি দিয়ে ঘন করে ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে।এবার মিশ্রণে আলুর পাতলা টুকরোগুলো একে একে ডুবিয়ে গরম তেলে ভাজতে হবে।বাদামি বর্ণ হলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।বৃষ্টির দিনে এই আলুভাজা সচ দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে।

আলুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই–উপকরণ :আলু আধা কেজি (বড় সাইজ),কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ,হলুদ এবং মরিচ গুঁড়ো সামান্য,লবণ পরিমাণমত,টেস্টিং সল্ট এক চা চামচের ৪ ভাগের এক ভাগ,পানি সামান্য।প্রণালী :আলু ফ্রেঞ্চ আকারে কেটে নিতে হবে।সামান্য পানি দিয়ে কাটা আলুগুলোকে তাপ দিয়ে নিতে হবে।পানি ভালো করে ঝরিয়ে নিতে হবে।এরপর কর্নফ্লাওয়ার, হলুদ এবং মরিচ গুঁড়ো, লবণ, টেস্টিং সল্ট আলুর সঙ্গে ভালোভাবে মাখিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে।প্যানে তেল গরম করে বাদামি করে ভেজে নিতে হবে।এরপর সস্ দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।