পিবিএ ডেস্কঃ গ্রাম-বাংলার অতি পরিচিত ফল তাল ও ওলকচু ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘ দিন গবেষণার পর এমনটাই জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ শাহীনুর রহমান।
তিনি জানান, ডায়াবেটিসের মাত্রা খুব বেশি না হলে তাল এবং ওলকচু তা স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসতে সক্ষম। এমনকি ডায়াবেটিস ২ চরম মাত্রায় পৌছালেও তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে আমাদের অতি পরিচিত তাল এবং ওলকচু।
জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগে ইদুঁরের ওপর বিগত কয়েক বছর ব্যাপী এক গবেষণায় এ বিষয়টি প্রমাণিত হয়। বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ শাহীনুর রহমান তার পিএইচডি গবেষণায় এ বিষয়টি প্রমাণ করতে সক্ষম হন। এ গবেষণার স্বীকৃতি স্বরূপ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪৫ তম সিন্ডিকেট সভা তাকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
এ গবেষক জানান, পাকা তালের রস, কচি তালের শাঁস, অংকুরিত তালের আটির ভেতরের সাদা অংশ এবং ওলকচুতে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি গুণ ‘ফাইটোকেমিকেল’ তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এর মধ্যে পাকা তালের রস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সক্ষম না হলেও স্থিতিতাবস্থায় রাখে। তবে কচি তালের শাঁস ও অংকুরিক তালের শাঁস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অধিক পরিমান সক্ষম।
তিনি আরও জানান, ডায়াবেটিস রোগীকে মাটির নিচের কোনি খাদ্য উপাদান খেতে দেওয়া হয় না। কিন্তু ওলকচু মাটির নিচে উৎপাদিত হলেও এতে অ্যান্টি ডায়াবেটিসরোল আছে। এতে প্রচুর পরিমান ফাইটোকেমিক্যাল ও পুষ্টিগুণ থাকায় ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি এ দুটি উপাদান পরিমিত মাত্রায় খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে জানান শাহিনুর রহমান।
গবেষণার বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে শেখ শাহীনুর রহমান বলেন, ‘উপযুক্ত ফান্ড ও পর্যাপ্ত প্রযুক্তি না থাকার কারণে ডায়াবেটিস ১ নিয়ে গবেষণা করা যায়নি। উপযুক্ত ফান্ড পেলে ডায়াবেটিস ১ ও ডায়াবেটিস ২ নিয়ে মানব দেহে পরীক্ষা চালানো সম্ভব হবে। অদুর ভবিষ্যতে উদ্ভিদজাত উপাদানের সংমিশ্রণে একটি কার্যকর ডায়াবেটিস নিরাময়ে সক্ষম খাদ্য উপাদান তৈরির নিমিত্তে গবেষণা প্রকল্প চালিয়ে যাবো।’
পিবিএ/এমএস