হাটহাজারী পিকিং পাওয়ার প্লান্টের বর্জ্যে দুষীত হচ্ছে হালদা! চরম হুমকির মুখে মৎস্য প্রজনন

খোরশেদ আলম শিমুল,হাটহাজারী: চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ১১ মাইল এলাকার পিকিং পাওয়ার প্লান্টের (১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র) বর্জ্য ও পোড়া ফার্নেস অয়েল বৃষ্টির পানির স্রোতে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে পড়ে দুষীত করছে । এতে চরম হুমকির মুখে পড়ছে মৎস্য প্রজনন।

পিকিং পাওয়ার প্লান্টের বর্জ্য ও পোড়া ফার্নেস অয়েল সোমবার থেকে বৃষ্টির পানির স্রোতে পাশের মরা ছড়ায় ছেড়ে দিয়েছেন যা গড়িয়ে পড়ছে হালদায় এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিন সোমবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের সত্যতা পান এবং প্রমাণসরুপ ছবি তুলেন।

ইউএনও রুহুল আমিন পিবিএকে বলেন, আমি পরিদর্শন করেছি। আমি বিদ্যুৎ চাই, হালদাও চাই। এভাবে হালদা দূষণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হালদাকে শেষ করে দিবে। তাদের ইটিপি বানানোর কথা থাকলেও করেনি। বৃষ্টি মানেই হালদায় বর্জ্য ফেলে দেওয়া।
তিনি বলেন, রাতের অন্ধকারে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে হালদায় পোড়া ফার্নেস ওয়েল ছেড়ে দিলে ইউএনও একা ঠেকাতে পারবে না। ইটিপি বাস্তবায়ন করে হালদার প্রতি দরদী হতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর কে লিখিতভাবে জানানো হবে জানিয়ে আরও বলেন, এ রকম নির্বিকার হবার সুযোগ নেই। বিদ্যুৎ ও হালদা দুইটাই চাই।

জানা যায়, স্থানীয় এবং সরকারের দীর্ঘদিনের দাবি হালদা দূষণমুক্ত করা। বিভিন্ন বর্জ্য ও ফার্নেস অয়েলের ফলে হালদার পরিবেশ রক্ষা হুমকির মুখে পড়েছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন এ নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও তেমন ফলপ্রসূ হয়নি তাদের আন্দোলন। তবে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিন যোগদানের পর থেকে হালদার পরিবর্তন হয়েছে অনেকখানি। একেরপর এক অভিযানের ফলে অনেকে প্রত্যক্ষভাবে পিছু হটলেও ১১ মাইলে অবস্থিত পিকিং পাওয়ার প্লান্টের ফার্নেস অয়েল অতি বর্ষণের সময় পানির স্রোতে ছেড়ে দেয়ার কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। এ নিয়ে তাদের বার বার তাগাদা দিলেও কর্ণপাত করেনি।

পিবিএ/হক

আরও পড়ুন...