পিবিএ, রাজশাহী: সাংবাদিক আত্মহত্যার ঘটনা ৫ মাস পর এখন হত্যা। ময়নাতদন্তে রির্পোট তার প্রমাণ বহন করছে। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দৈনিক যায়যায়দিন ও স্থানীয় দৈনিক আমাদের রাজশাহী পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন সেলিম আহাম্মেদ ভান্ডারী। কোমল পানীয়ের সাথে বিষাক্ত অ্যালকোহল মিশিয়ে পান করার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনার ৫ মাস পর বাঘা থানা পুলিশের কাছে পাঠানো ময়নাতদন্তের রির্পোট বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক সেলিম আহাম্মেদ ভান্ডারী এবং উপজেলা প্রকৌশল অফিসের ইলেকট্রিশিয়ান রনি কুমারকে গত ৩০ জানুয়ারি রাতে মনিগ্রাম বাজারের নিরাময় হোমিও হলের ডাক্তার মাসিদুল করিম কৌশলে ডেকে কোমল পানীয়ের সাথে বিষাক্ত অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পান করান। তারা নিজ বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ জানুয়ারি সকালে রনি কুমারের মৃতু হয় পরদিন রাত সাড়ে ১১টায় সাংবাদিক সেলিম মৃতু বরণ করেন।
পরিবারের লোকজন রনি কৃমারকে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাহ করে। কিন্ত সেলিমের পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনে বাধা দেয়। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে সাংবাদিক সেলিম ভান্ডারীর ময়নাতদন্ত করানো হয়। সেই ময়না তদন্তের রির্পোট এর সূত্র মতে কোমল পানীয়ের সাথে বিষাক্ত অ্যালকোহলে পান করার কারনে তার মৃত্যু হয়েছে।
সাংবাদিক সেলিম ভান্ডারীর চাচা কায়েম উদ্দিন জানান, অ্যালকোহল খাইয়ে আমার ভাতিজাকে হত্যার সন্দেহে ঘটনার পরদিন হোমিও ডাক্তার মাসিদুল করিমকে আটক করেছিল পুলিশ। ওইদিন তার দোকান তল্লাশি করে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধসহ বেশকিছু অ্যালকোহল জব্দ করে। মৃত্যু পূর্বে সাংবাদিক সেলিম তার স্ত্রীকে জানিয়েছে, ডাক্তার মাসিদুল কারিম পরিকল্পিতভাবে বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়েছে এতথ্য জানান সাংবাদিক সেলিম ভান্ডারীর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী বলেন, ময়না তদন্তের রির্পোট বিষক্রিয়ায় সাংবাদিক সেলিম আহম্মেদ ভান্ডারীর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা হতে পারে।
পিবিএ/হক