পিবিএ ডেস্কঃ মানুষের মস্তিষ্ক এক অজানা রহস্যে মোড়া। কখন কী হবে তা আগে থেকে ঠাহর করা কোনওমতেই সম্ভব নয়। শরীরের যেকোনও ছোট-বড় অসুবিধা একরকমভাবে সামলাতে হয়। আর মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে অন্যরকম ব্যবস্থা নিতে হয়।
শরীরের কোনও অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার মেরামতি করলেও করা যেতে পারে, তবে মস্তিষ্কে কোনও সমস্যা হলে তা প্রাণের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সেখান থেকে ফিরে আসা খুব একটা সহজ কাজ নয়।
এমন এক সমস্যা হল ‘ব্রেন হ্যামারেজ’ যা হঠাৎ করে জীবন বিপন্ন করে তুলতে পারে। এটি এমন এক সমস্যা যাতে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। তাই সবার আগে এই সমস্যা সম্পর্কে সম্ম্যক ধারণা থাকা আবশ্যক।
যাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয় তারা স্ট্রোকের শিকার হন। মাথার মধ্যের শিরা ছিড়ে গিয়ে রক্তপাত শুরু হয়। নিচের স্লাইডে জেনে নিন ব্রেন হ্যামারেজের সময়ে ঠিক কী হয়ে থাকে।
রক্তপাতঃ ব্রেন হ্যামারেজ প্রাণঘাতী হতে পারে। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মস্তিষ্কের ভিতরে অথবা খুলির মধ্যবর্তী অবস্থায় রক্তপাত ঘটে সমস্যা হতে পারে।
অক্সিজেনের ঘাটতিঃ ড্যামেজ দুই ধরনের হতে পারে। রক্তপাত ঘটে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ব্যাহত করে। যার ফলে স্ট্রোক হয়। এছাড়াও মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হলে স্ট্রোক হতে পারে।
ফুলে যাওয়াঃ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলে অনেক সময়ে টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হলে মস্তিষ্কের ভিতরের অংশ ফুলে যায়। এই অবস্থাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে সেরিব্রাল ওডেমা।
মাথা ব্যথাঃ ব্রেন হ্যামারেজে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে হঠাৎ করে মাথা ব্যথার সমস্যাও হতে পারে। বারবার এমন কোনও লক্ষণ বুঝলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
উচ্চ রক্তচাপঃ যদি কোনও ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাহলে মস্তিষ্কের ভিতরের ছিড়ে যাওয়া শিরা দিয়ে আরও বেশি করে রক্ত বেরিয়ে অবস্থা আরও ভয়াবহ করে তোলে।
অ্যানেউরিজমঃ যখন মস্তিষ্কের কোনও এক জায়গায় দুর্বল রক্তনালীর দেওয়াল ফুলে গিয়ে বিপদ বাঁধায়, তখন সেই অবস্থাকে বলে অ্যানেউরিজম। ব্রেন হ্যামারেজের সময়ে এমন অবস্থাও জীবন বিপন্ন করে তোলে।
পিবিএ/এমআর