পিবিএ ডেস্ক: কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রসঙ্গে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কাশ্মিরি জনতার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত এবং ভারতের উচিত ওই অধিকারকে সম্মান জানানো।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের মতে, কাশ্মিরে ‘অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ’ করছে ভারতীয় বাহিনী। দিল্লির বিরোধীদের যখন খুশি আটক করা হচ্ছে। বন্ধ রাখা হচ্ছে ইন্টারনেট।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ওই অবস্থানের প্রতিবাদে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, ‘ওই রিপোর্ট ভারতের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। এতে সীমান্তপারের মদদে যে সন্ত্রাস চলেছে তাকে গুরুত্বই দেয়া হয়নি। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ও সন্ত্রাসে মদদদাতা একটি দেশকে কৌশলে এক কাতারে বসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার গতকাল (সোমবার) বিকেলে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মির নিয়ে আগের রিপোর্টটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, প্রতারণাপূর্ণ ছিল। নয়া সংস্করণেও সেই ধারাবাহিকতাই বজায় রয়েছে। রিপোর্টে যা বলা হয়েছে, তা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরোধী। ওই রিপোর্টে সীমান্ত সন্ত্রাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার কোনও উল্লেখই নেই।’
রবীশ কুমার বলেন, ‘বছরের পর বছর সীমান্তে সন্ত্রাস চালিয়ে আসছে পাকিস্তান। তাতে কত প্রাণ ঝরেছে তার কোনও হিসাবই নেই ওই রিপোর্টে। বরং পরিকল্পনামাফিক বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সঙ্গে সন্ত্রাসে মদদ জোগানো একটি দেশকে এক আসনে বসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। মানবাধিকার শাখার হাই কমিশনে এর বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
গত বছর জুন মাসে কাশ্মিরে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রথম রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। সেবারও ভারতের পক্ষ থেকে তার প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। কিন্তু জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তৈরি হওয়া রিপোর্টকে এবার যেভাবে ভারত কূটনৈতিক স্তরে সরাসরি প্রতিবাদ জানিয়েছে তাতে এমন তিক্ত সমালোচনা সাম্প্রতিক অতীতে হয়নি বলেই কূটনৈতিকমহল মনে করছেন।
পিবিএ/এএইচ