পিবিএ ডেস্ক: বিমানের অবতরণ ব্যবস্থা নিরাপদ করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অটোপাইলটের ব্যবহার শুরু হয়েছে।
অটোমেটিক পাইলট বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত বিমানের পাইলট ‘ইমেজ রিকগনিশন আর্টিফেশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বা দৃশ্য নিয়ন্ত্রিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে রানওয়ে চিহ্নিত করে।
বড় বিমান বন্দরগুলোতে এমন ব্যবস্থা থাকে যাতে করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি ব্যবহার করে রানওয়ের অবস্থান বুঝে বিমান অবতরণ করতে পারে।
এদিকে গত মে মাসে অস্ট্রিয়ার ডায়মন্ড এয়ারক্রাফট বিমানঘাঁটিতে এআই (আর্টিফেশিয়াল ইন্টেলিজেন্স)-এর নতুন একটি টুল ব্যবহার করে যাত্রীবাহী ছোট একটি বিমানকে অবতরণ করানো হয়েছিল।
একজন বিশেষজ্ঞের মতে, এর ফলে ফ্লাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত হবে।
ব্রাউনশভাইক এবং মিউনিখের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই নতুন পদ্ধতিটির উদ্ভাবন করেছেন। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিটি রানওয়ের ভিজ্যুয়াল তথ্য সংগ্রহ করে বিমানের ফ্লাইট কন্ট্রোলকে সমন্বয় করে কোন মানুষের সহায়তা ছাড়াই।
কারণ এটি স্বাভাবিকভাবে দৃশ্যমান আলো এবং ইনফ্রারেড রশ্মি বা অবলোহিত বিকিরণ সবই শনাক্ত করতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার মধ্যেও এটি অবতরণের স্থান শনাক্ত করতে পারে যা কিনা পাইলটের ক্ষেত্রে কঠিন।
আরেকটি সুবিধা হলো – এই পদ্ধতি বেশিরভাগ বড় বিমান বন্দরে বিদ্যমান ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) এর দ্বারা রেডিও সংকেতের ওপর নির্ভর করে না। ছোট বিমান বন্দরগুলোতে এই পদ্ধতি অনেক সময়ই থাকে না।
তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তিকেও ভুল প্রোগ্রাম দিয়ে নষ্ট করারও আশঙ্কা করেছেন ইউনির্ভাসিটি অব ক্যাগলিআরির বাতিস্তা বিগজিও।
উদাহরণস্বরূপ এমন হতে পারে যে, এআই পাইলট অন্য কোন স্থানকে রানওয়ে হিসেবে চিহ্নিত করে ফেলতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, অটোমেশনের অর্থ এই নয় যে পাইলটের নিয়ন্ত্রণ এতে কমে যাবে। বরং এই প্রযুক্তি যেকোন প্লেন এর অবতরণকে ভালোভাবে সহায়তা করবে।
পিবিএ/এএইচ