সালাহ উদ্দিন আহমেদ, পিবিএ দিনাজপুর: দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে বিভিন্ন কোটা উপেক্ষা করে রাজাকারের পরিবারের সদস্যকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মমিন সরকারের সহধর্মীনি মনিজা বেগম। শিক্ষক কর্মকর্তা এবং কর্মচারি নিয়োগে পক্ষপাত অনিয়ম করায় মেধা এবং যোগ্যতা সম্পন্নরা নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছে। এব্যাপারে বুধবার দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরে ওই নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধার কোটায় চাকুরির আশায় অনার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকারকারি তার ছেলে আল মামুন সরকার সেকশন অফিসার পদে আবেদন করেছিল। কিন্তু নিয়োগে সব ধরনের কোটা বিধি মানা হয়নি। অথচ রাজাকার পরিবারের সদস্য কুড়িগ্রাম সদরের গয়ারী গ্রামের সুজাউদ্দৌলার ছেলে কেবিএম মহিউদ্দিন নুরকে প্লানিং / ডেপলোমেন্ট অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অনিয়মের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
নিয়োগে একই ধরনে অভিযোগ তুলে এর আগে আলাদাভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সদস্যরা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. এস এম হারুন উর রশীদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. বলরাম রায়, সাবেক রেজিষ্টার প্রফেসর ড. সাইফুর রহমানসহ অন্যান্যরা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, অনিয়ম এবং অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে শিক্ষক ফোরামের নেতারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে। কিন্তু নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি সুনাম ক্ষুন্ন করছেন উপাচার্যসহ তার অনুগতরা। নিয়োগে অনিয়মের বড় প্রমান হচ্ছে ৫ ই জানুয়ারীর নির্বাচনে জ্বালাও পোড়াও নাশকতার মামলার আসামি ফেসবুকে প্রধান মন্ত্রী সম্পর্কে কটুউক্তিকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মহিউদ্দিন নুরকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতার স্বার্থে পুনরায় নিয়োগের দাবির পাশাপাশি ছাত্রীকে যৌন অভিযুক্ত সহকারি অধ্যাপক রমজান আলীকে চাকুরি চ্যুতির দাবি জানিয়েছেন তারা।
পিবিএ/সফি/জেডআই