পেকুয়ায় কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


পিবিএ,পেকুয়া (কক্সবাজার): কক্সবাজারের পেকুয়ায় কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে কৃষকের নতুন বীজতলা ক্ষেত খামার ও মাছের ঘের ফলে শত শত কৃষকের মাথায় পড়েছে হাত। জানা যায়, গত কয়দিন ধরে সাগরে লঘুচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে কক্সবাজারে টানা বৃষ্টিপাত হয়। যা আবহাওয়া অফিস জেলায় গত ৯ তারিখ ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে।

টানা ও থেমে থেমে বৃষ্টি আর বেড়িবাঁধ উপচে পড়ে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কাঁকপাড়া শরৎঘোনা, মগনামা ঘাট, ফতাইলা মার পাড়া, ঘাট মাঝির পাড়া, দরদরিয়া ঘোনা, উজানটিয়া ইউনিয়নের, পেকুয়ার চর সুতাচুরা, সকির পাড়া, টেকপাড়া, রাজাখালীর ইউনয়নের সিন্দু পাড়া, বইশ্যা ঘোনা, বদি উদ্দিন পাড়া, পেকুয়া সদরের টেকপাড়া, বলির পাড়া, সাকুর পাড়া, সিরাদিয়া, নন্দীর পাড়া, হরিনাফাড়ি, জালিয়াখালী, মেহেরনামা, ও শিলখালী ইউনিয়নের শেষাংশ। পেকুয়া হরিনাফাঁড়ির কৃষক রহমত উল্লাহ জানান, টানা বৃষ্টিতে আমাদের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমাদের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে গোয়াল ঘরে পানি ডুকেছে আমাদের ঘরে ও পানি ডোকার অবস্থা। নতুন ঘোনার মৎসচাষী মহসিন রেজা বলেন, টানাবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় আমাদের বাড়ি ঘরে পানি ওঠেছে মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। ফলে আমাদের মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। পেকুয়া সদর ইউনয়নের বাসিন্ধা সমাজকর্মী নাছির উদ্দিন বাদশা বলেন, দীর্ঘ দিনের আমাদের দাবী ছিল বেড়িবাঁধ সংস্কার করা কিন্ত তা এখনো সম্পূর্ণ হয়নি প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই আমাদেরকে পানিতে ভাসতে হয়। তিনি এসব বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

এদিকে মগনামার জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানতে চাইলে মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম বলেন, আমাদের এখানে বেড়িবাঁধ এখনো অরক্ষিত। তাছাড়া মগনামায় যে পরিমান বৃষ্টিতে পানি হয় তা নিষ্কাশন করার মতো পর্যাপ্ত সুইচগেইট এখানে নেই। যার ফলে বৃষ্টি হলেই এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তিনি আরো বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের একমাত্র উপায় তা হলো পর্যাপ্ত স্লুইচ গেইট স্থাপন । এবিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুব উল করিম জানান, আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে শুকনা খাবার ব্যবস্থা করেছি যা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে তবে আমরা আরো ত্রানের জন্য উর্ধতন মহলকে জানিয়েছি।

পিবিএ/এফ এম সুমন/বাখ

আরও পড়ুন...