রাজশাহী রেলের লাইন ও সেতু সংস্কারের নামে লুটপাটের অভিযোগ

পিবিএ,রাজশাহী: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার দীঘকান্দি এলকায় তেলবাহী ৯ টি বগি লাইনচ্যুত হয়। রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। খবর পেয়ে রাজশাহী রেলওয়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছান। ৭ ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভিক হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকেল ৬টার দিকে এই ঘটনায় সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এবিষয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার মূল নায়ক পশ্চিম রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আরিফুল ইসলাম। রেললাইন সংস্কারের নামে আরিফ ও তার সহযোগীদের লুটপাটেরর কারণেই ট্রেন চারঘাটের একই স্থানে বার বার ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন খোদ রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

রাজশাহীর স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, চারঘাটের সরদাহ স্টেশনের পরে পুঠিয়া উপজেলার দীঘকান্দি এলকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সারদা রেলষ্টেশন পার হয়ে লাইনচ্যুত হয় তেলবাহী ট্রেন। ট্রেনের ৯টি বগি মূল লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যার দরুন রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেলযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এদিকে রাজশাহী রেলওয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এই লাইনটি সম্প্রতি কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে সংস্কার করা হয়। কিন্তু সংস্কারের নামে বিপুল টাকা লুটপাট করা হয়। এই লুটপাটের নেতৃত্বে ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রমজান আলী। সে তিন বছরে এই অঞ্চলে শুধু লাইন সংস্কারের নামে প্রায় চারশ কোটি টাকা লোপাট হয়। এলটিএমের মাধ্যমে টেন্ডার ছাড়ায় উন্নয়ন করে এ টাকা লোপাট করা হয়। বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত করছে দুদক।

রাজশাহী রেলওয়ের সরাঞ্জম শাখা লাইনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কেনার নামেও লুটপাটে মেতে ওঠেছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান সরাঞ্জম কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে গত বছরে শুধু এলটিএমের মাধ্যমে অন্তত ২০ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে এবং প্রয়োজন ছাড়ায় কোন প্রকল্পে টাকা লোপাট করা হয় বলে অভিযোগে উঠেছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলের লাইন ও সেতু সংস্কারের নামে লুটপাটের অভিযোগ ওঠে আরেক বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

ট্রেনের যন্ত্রাংশ কেনাকাটার নামে কোনো অনিয়ম হয়নি। সংশ্লিষ্ট বিভাগের চাহিদা অনুযায়ি যন্ত্রাংশ ক্রয় করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে অভিযোগের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি বেলাল উদ্দিন সরকার। । অপরদিকে প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম দাবি করেন, তিনি কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নাই।

পিবিএ/ওআই/বিএইচ

আরও পড়ুন...