পিবিএ ডেস্কঃ কিডনি আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ভালো করে কাজ না করলে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নানা হরমোন তৈরি করা ছাড়া রক্ত শোধন করা, শরীরের যাবতীয় দূষিত পদার্থ রেচন আকারে বের করে দেওয়া ইত্য়াদি কিডনির কাজ। কিডনির সমস্যায় সবচেয়ে প্রথম ধাপ হল কিডনিতে স্টোন বা পাথর জমা। যদি সঠিকভাবে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিনগুলিকে না বের করা যায় তাহলে কিডনিতে পাথর হতে বাধ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিহাইড্রেশন, অত্যধিক মদ্যপান, বংশগত ধারা, অত্যধিক ওজন ও বেঠিক খাদ্যগ্রহণের ফলে কিডনিতে পাথর জমতে শুরু করে। একবার কিডনিতে পাথর জমলে তা যেমন বেদনাদায়ক, তেমনই মূত্রথলির নলি আটকে দিয়ে মূত্রত্যাগেও নানাবিধ অসুবিধার সৃষ্টি হয়। ফলে আগে থেকে জেনে গেলে সুস্থ হতে বেশি সময় লাগে না। নিচের স্লাইডে দেখে নিন, কীভাবে বুঝবেন কিডনিতে পাথর জমার সমস্যা শুরু হয়েছে।
মূত্রত্যাগঃ মূত্রনালী দিয়ে পাথর চলাচল করলে মূত্রের সমস্য়া হয়। এই থেকে বাঁচতে বেশি করে ফ্লুয়িড গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে এই সমস্যা থেকে বাঁচা যেতে পারে।
বমি ভাবঃ বেশিরভাগ সময়ই পেট খারাপ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এর পাশাপাশি বমি ভাবও হতে পারে।
ঘোলাটে মূত্রঃ মূত্রের রং ঘোলাটে হলে শুধু কিডনিতে পাথর নয়, নানা ধরনের সংক্রমণও হতে পারে। তাই এমন সমস্যা দেখলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
প্রস্রাবের তাড়াঃ ঘনঘন মূত্রত্যাগের নানা কারণ হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হল কিডনিতে পাথর জমা।
জ্বরঃ কিডনিতে সমস্যা হলে জ্বর আসতে পারে। শরীর গরম হয়ে গেলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যবস্থা করতে হবে অবিলম্বে।
তলপেটে ব্যথাঃ তলপেটে ব্যথা, ঘনঘন প্রস্রাব করা ইত্যাদি নানা কারণ হতে পারে কিডনিতে পাথর জমার। তাই দেরি না করে মূত্র পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মাত্রাতিরিক্ত ঘামাঃ শরীরের নানা জায়গা ও বিশেষ করে মুখ অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়াকে আমরা খুব একটা পাত্তা দিই না। তবে এসবই কিডনিতে গোলমালের লক্ষণ বহন করে।
রক্তমিশ্রিত মূত্রঃ যদি আপনার মূত্রের রং গোলাপি বা লালচে হয় ও তা দুর্গন্ধযুক্ত হয় তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
পিবিএ/এমআর