হাবিব সরোয়ার আজাদ, জাকির হোসেন রাজু, পিবিএ,সুনামগঞ্জ: প্রবল বর্ষণে সীমান্তের ওপাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দী লোকজনকে সরকারি সহায়তা হিসাবে ৩০০’শ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য জানিয়ে পিবিএ’কে বলেন, জেলার তাহিরপুরসহ আপাতত পাঁচ উপজেলায় প্লাবিত পানিবন্দী প্রতিটি পরিবারকে এ আপদকালীন সময়ে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন,পাহাড়ি ঢলে চলমান সমস্যা মোকাবেলায় জরুরী খাদ্য সহায়তা হিসাবে ১২৬৫ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং নগদ ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।,
উল্ল্যেখ যে, টনা ছয়দিনের প্রবল বর্ষণে জেলা সদর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার সীমান্ত নদী সুরমা, জাদুকাটা, রক্তি, বৌলাই, কংস, চলতি, পিয়াইন নদীসহ হাওর এলাকায় হু হু করে প্রতিনিয়ত ঢলের পানি বাড়ছে। পানিতে ডুবে গেছে জেলার ১১০ কি.মি সীমান্ত সড়ক , বিভিন্ন গ্রামীণ হাট বাজার ও সড়কসহ নিচু এলাকার বসতিতে ঢলের পানি প্রবেশ করেছে।,
তাহিরপুর শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তাহিরপুরের কমপক্ষে ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঢলের পানি প্রবেশ করায় শিক্ষার্থী শুন্য হয়ে পড়ে ওইসব প্রতিষ্ঠানে। এদিকে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড পিবিএ’কে জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায়-১৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বৃস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ভুইয়া পিবিএ’কে জানান, সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল অবধি প্রবাহিত হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান পিবিএ’কে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় বৃহস্পতিবার বিকেল অবধি সরকারি সহায়তার চাল, শুকনো খাবার ও নগদ টাকা প্লাবিত এলাকায় বিতরণ সম্ভব হয়নি।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে শুক্রবার সকাল থেকেই তাহিরপুরসহ প্রত্যেক প্লাবিত উপজেলায় বাড়িবাড়ি গিয়ে উপজেলা প্রশাসন এসব প্রত্যেক পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল, শুকনো খাবার প্যাকেট ও নগদ টাকা বিতরণ করার সব রকম প্রস্তুতি নেবেন।
পিবিএ/এমএসএম