পিবিএ ডেস্ক: সংগীতশিল্পী শান্তনু বিশ্বাস আর নেই। গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইস্তেকাল করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গেল মঙ্গলবার অসুস্থ হওয়ার পর তাকে চট্টগ্রামের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার ঢাকায় আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি ইস্পাহানি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার রাতেই তার মরদেহ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
আজ বেলা ১১টায় সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনার চত্বরে তার মরদেহ নেয়া হয়েছে। বিকেল ৪টায় প্রয়াত নাট্যকার, নির্দেশক , সংগীতশিল্পী ও কালপুরুষ নাট্য সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা শান্তনু বিশ্বাসের মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে আনা হবে। ১৯৭৬ সালের দিকে চট্টগ্রামে শান্তনু বিশ্বাস আরও কয়েকজন নাট্যকর্মীসহ অঙ্গন থিয়েটার গড়ে তোলেন। ‘কালো গোলাপের দেশ’ তার লেখা প্রথম নাটক। মঞ্চেও দেখা গেছে শুরু থেকে। ‘অঙ্গন’ এবং ‘গণায়ন’-এ অভিনয় করে তিনি ওই সময়ে সাড়া ফেলেছিলেন। তিনি নাটকের নির্দেশনা আবহও তৈরি করেন তৃতীয় নাটক ‘নবজন্ম’-তে। মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিন্ন আঙ্গিকে লেখা তার নাটক ‘ইনফরমার’ ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়। মৌলিক নাটকের পাশাপাশি অনুবাদ বা রূপান্তরেও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। লিখতেন গানও। ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয় শান্তনু বিশ্বাসের গানের বই ‘গানের কবিতা- খোলাপিঠ’।
২০০৭ সালে তার কথা ও সুরে এটিএন মিউজিক থেকে একটি সংকলন বের হয় যেটিতে কণ্ঠ সুবীর নন্দী ও কলকাতার ইন্দ্রাণী সেন। ২০০৮ সালে ইমপ্রেস অডিও ভিশন থেকে তার লেখা ও সুরে শিল্পী অরুনিমা ইসলাম ও নিজের গাওয়া যৌথ সংকলন বের হয়। ২০০৯ সালে অগ্নিবীণা থেকে প্রকাশ হয় শান্তনু ও শিল্পী বাপ্পা মজুমদারের যৌথ অ্যালবাম। শান্তনু বিশ্বাস সংগীতের সংগঠকও। এ বিষয়ে তিনি গবেষণা করেছেন, প্রবন্ধও লিখেছেন। কালপুরুষ নাট্য সম্প্রদায়ের উপদেষ্টা শান্তনু বিশ্বাস নিজের রচনা, নির্দেশনা ও অভিনয় নিয়ে সবশেষ মঞ্চে ওঠেন ২৮শে জুন, এ নাটকে তিনি অভিনয়ও করেন।
পিবিএ /ইকে