জেনে নিন, মরণব্যাধি এইডস থেকে কীভাবে বাঁচবেন

পিবিএ ডেস্কঃ এইডস বা ‘অ্যাকোয়ার্ড ইম্যুনোডেফিসিয়েন্সি সিন্ড্রোম’ এক ধরনের ভাইরাল সংক্রমণ যা এইচআইভি-তে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হয়। প্রতিবছর পয়লা ডিসেম্বর তারিখে ‘বিশ্ব এইডস দিবস’ পালন করা হয়। এইডস আক্রান্ত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। ফলে যেকোনও রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে তা আর সারে না। ফলে যে কোনও রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। অনেক সময়ে এইচআইভিতে আক্রান্ত হলেই এইডস হয় এমন নয়। ঠিকমতো যত্ন নিলে ও ওষুধ খেলে অনেকদিন সুস্থ থাকা যায়। তবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে আর কোনও উপায় থাকে না। তবে এই এইডস থেকে কীভাবে দূরে থাকবেন? এই রোগ যৌন মিলনের ফলে ছড়ায়। ফলে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন জরুরি বৈকি। নিচের স্লাইডে জেনে নিন এর থেকে দূরে থাকার কয়েকটি সতর্কবাণী।

অরক্ষিত যৌনমিলনঃ এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে অসংরক্ষিত যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে এই মারণ ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধে। এমনকী একাধিক শয্যাসঙ্গী থাকলে ও অসংরক্ষিত যৌন জীবনযাপন করলেও এতে মানুষ আক্রান্ত হয়।

সংক্রমিত ইনজেকশনঃ এইআইভি আক্রান্তের দেহে ব্যবহার করা সিরিঞ্জ, ভ্যাকসিন যদি অন্য দেহে পুনরায় ব্যবহার করা হয় তাহলে সেই ব্যক্তি এইডসে আক্রান্ত হতে পারেন।

রক্ত নেওয়াঃ ব্লাড ব্যাঙ্ক যখন রক্ত সংগ্রহ করে তখন তা এইচআইভি মুক্ত কিনা তা পরীক্ষা করার পরই নেওয়া হয়। তবে কিছুক্ষেত্রে অসাবধানতাবশতঃ ভুল হয়ে গেলে সেই রক্ত সুস্থ মানুষের শরীরে গেলে মানুষ আক্রান্ত হয়।

কাটা জায়গা থেকে সংক্রমণঃ এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে কোথাও কেটে রক্তপাত হলে সেই রক্ত অন্য সুস্থ মানুষের রক্তের সংস্পর্শে এলে এইডস ভাইরাস সংক্রামিত হয়।

মুখের লালার সংস্পর্শে এলেঃ নতুন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যৌনমিলনের ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির মুখের লালা অন্যের মুখে প্রবেশ করলে সেখান থেকেও এইডসের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।

গর্ভাবস্থায়ঃ যদি গর্ভাবস্থার সময়ে মা এইচআইভি পজিটিভ হয়, তাহলে তাহলে এইডস ভাইরাস গর্ভে প্রবেশ করে শিশুকে আক্রান্ত করতে পারে। তবে এখন অনেক চিকিৎসা পদ্ধতি বেরিয়েছে যা এই ভাইরাসকে শিশুকে আক্রমণের হাত থেকে বাঁচায়।

এইডস নিয়ে নানা কথাঃ এইডস নিয়ে নানা মিথ রয়েছে। অনেকে ভাবেন হাত ধরলে, গলা মেলালে বা এক জায়গা থেকে খাবার খেলে এইডস ছড়াতে পারে। এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। রক্তে সংক্রমণের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকা উচিত। আর এই রোগে আক্রান্তদের সহমর্মিতার চোখে দেখা উচিত।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...