সঙ্গীর পাশে শোয়ার স্বাস্থ্যকর উপকারিতা

পিবিএ ডেস্কঃ যে দম্পতি বা প্রেমিক-প্রেমিকা প্রত্যেক রাতে পাশাপাশি শুয়ে ঘুমোন তাঁদের বেশিদিন ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারি হয়ে বেঁচে থাকেন। না এ কোনও হেয়ালি কথা নয়। এর পিছনে অনেকগুলি বৈজ্ঞানিক ও মানসিক কারণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার সঙ্গীর পাশে শোয়া বা জড়িয়ে ধরে শোয়া সবসময় স্বাস্থ্যকর। যখন দুটি মানুষের শরীর একে অপরের শরীরকে স্পর্শ করে তখন মস্তিষ্ক শরীরকে সিগন্যাল দেয় চিন্তামুক্ত হওয়ায়, ফলে আপনি অনেক বেশি চিন্তামুক্ত নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমতে পারেন। ঘুম ভাল হওয়া মানেই শরীরে অর্ধেক সমস্যার অবসান। এতো গেল একটা উপকারিতা। এর বাইরেও আরও অনেক ইতিবাচক কারণ রয়েছে যার জন্য আপনারও উচিত আপনার সঙ্গীর সঙ্গে প্রত্যেক রাতে একসঙ্গে শোয়া। সেই কারণগুলি কী জেনে নিন ।

চিন্তামুক্ত হতে সাহায্য করেঃ আপনি যখন আপনার ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে একই খাটে শুচ্ছেন, তখন শরীর স্পর্ষ হবে এটা খুবই স্বাভাবিক। তখন মস্তিষ্ক শরীরকে সিগন্যাল দেয় চিন্তামুক্ত হওয়ার। ফলে শরীর এইসময় অনেকবেশী রিল্যাক্স হয়। যা অত্যন্ত প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য।

ভাল ও গভীর ঘুম হয়ঃ যদি আপনার ঘুমের ক্ষেত্রে কোনওধরণের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কোনও আপনজনের সঙ্গে শোয়া উচিত। আর তা যদি আপনার ভালবাসার মানুষ হয় তাহলে তো কোনও কথাই নেই। আপনার সমস্যায় আপনার ভালবাসার মানুষ আপনার পাশেই রয়েছে এই মানসিক শান্তির জেরে দুশ্চিন্তা খানিকটা কমে, তাও যদি ঘুমের সমস্যা হয় আপনার সঙ্গীর মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া, আদর করা সব শরীর ও মস্তিষ্ককে অনেকবেশি চাপমুক্ত করে, ফলে ভাল ঘুম আসতে বাধ্য হয়। ইনসোমনিয়ার মতো অসুখও শুধু এভাবেও সারানো সম্ভব হয়।

উষ্ণতা প্রদান করেঃ আপনি যখন আপনার ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে একই খাটে শুচ্ছেন, তখন শরীর স্পর্ষ হবেই। শরীর স্পর্ষের মাধ্যমে শরীরে উষ্ণতার উদ্দীপন হয়, যা শরীরের রক্ত সঞ্চালনক্রিয়া উন্নত করে।

লাভ হরমোনঃ শুধু যৌন মিলনই যে শরীরে যৌন হরমনোর ক্ষরণ করে তা নয়। শরীরের উন্মুক্ত অংশে অপর লিঙ্গের ব্যক্তির ত্বকের স্পর্ষের জেরেও শরীরে ‘লাভ হরমোন’ মুক্ত হয়। যা আমাদের মনকে আন্দ দেয় ।

হৃদযন্ত্রের পক্ষে উপকারিঃ সঙ্গীর পাশে শোওয়ার ফলে হৃদযন্ত্রও সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে কারণ, পাশেই আপনার সঙ্গী রয়েছে এই বাস্তবটা আপনাকে মানসিক নিরাপত্তা দেয় এবং উষ্ণতা জোগায়, যার ফলে হৃৎপিণ্ড স্বাভাবিক ছন্দে চলতে থাকে। ফলে হৃৎযন্ত্রের উপর আলাদা করে কোনও চাপ পড়ে না। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও অনেকাংশে কমে যায়।

নতুন উদ্যমঃ ভাল ঘুম হওয়ার ফলে পরের দিন সকালে আপনি যখন ঘুম থেকে ওঠেন, তখন দেখবেন নয়া উদ্যম নতুন এনার্জি এসেছে শরীরে। একে তো দুশ্চিন্তামুক্ত ঘুম, তার উপর ভালবাসার আনন্দ ফলে চাপমুক্ত হওয়া। ফলে নতুন উদ্যম তো আসবেই।

আয়ু বাড়েঃ গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, সঙ্গীর পাশে শুলে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, এবং শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ৬৭ শতাংশ বেশি বিশ্রাম পায় ঘুমের সময়। এর ফলে বেশিদিন ধরে সুস্থ উপায়ে কাজ করতে পারে শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...