সুস্থ থাকতে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা?

পিবিএ ডেস্কঃ সুস্থ থাকার সঙ্গে হাত ধোওয়া বা না ধোওয়ার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। শিশুরা অবুঝ মনে অনেক সময়েই হাত না ধুয়ে খাবারে হাত দিয়ে দেয় বা খেয়েও নেয়। তবে বড়রাও অনেকেই এই একই কাজ করে থাকেন।

এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞের মত নেওয়ার প্রয়োজন নেই যে, খাবার খাওয়ার সময়ে হাত ধুতেই হয়। নাহলে যত অদৃশ্য রোগ-জীবাণু খাবারের মধ্য দিয়ে আমাদের পেটে চলে গিয়ে শরীরকে খারাপ করে তোলে।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, খাওয়া ও গোসল করা ছাড়াও দিনের মধ্যে আরও বেশ কয়েকবার অবশ্যই হাত ধুতে হবে সকলকে। একমাত্র তাহলেই জীবাণুর আক্রমণ থেকে কিছুটা রেহাই মিলবে। জেনে নিন, কখন কখন অবশ্যই হাত ধুতে হবে আপনাকে।

অসুস্থ মানুষের সঙ্গে দেখা করেঃ আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি তেমন না হয় তাহলে এটা খেয়াল রাখবেন। অসুস্থ মানুষের সঙ্গে দেখা করে ভালো করে অবশ্যই হাত ধুয়ে নেবেন।

সদ্য মাতৃত্ব পাওয়া মহিলারাঃ সদ্য মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়া মহিলারা খেয়াল রাখবেন প্রতিবার ডায়পার পাল্টানোর পর শিশুকে ধরার আগে অবশ্যই হাত ধুয়ে নেবেন।

ময়লা পরিষ্কারের পরেঃ বাড়ির হোক বা বাড়ির বাইরের ময়লা, পরিষ্কার করার পরে অবশ্যই হাত ধোবেন। নাহলে নানা ধরনের সংক্রমণ হতে পারে।

বাথরুমে গিয়েঃ বাথরুমে প্রাকৃতিক কাজকর্ম সারার পরে প্রতিবার নিয়ম করে হাত ধোবেন। নাহলে শুধু আপনার নয়, বাড়ির সকলেরই নানা রোগ হতে পারে।

ফ্লু-য়ে আক্রান্ত হলেঃ হাঁচি বা কাশির সময়ে প্রতিবারই মুখের ভিতর থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বাইরে বেরিয়ে আসে। হাত না ধুয়ে অন্য কিছু ধরলে তা তাতে সংক্রমিত হয়ে যায়। ফলে হাঁচি-কাশির পরে অবশ্যই হাত ধোওয়া উচিত।

খাওয়ার আগে ও পরেঃ খাওয়ার শুধুমাত্র পরে নয়, আগেও প্রতিবার হাত ধোওয়া উচিত।

রান্না করার আগেঃ সবজি কাটার আগে বা রান্না করার আগে ভালো করে নিজের হাত ধুয়ে নেওয়া উচিত। এমনকী খেতে দিতে হলেও আগে হাত ধুয়ে নিন। তাহলেই নিরোগ জীবনযাপন করতে অনেক সুবিধা হবে।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...