পিবিএ ডেস্কঃ ক্যানসারের মতো মারণ রোগ আজ সারা বিশ্বে মহামারির আকার নিয়েছে। সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ আর এই কর্কট রোগের করাল গ্রাসে আক্রান্ত। প্রতি মুহূর্তে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে সারা বিশ্বে। একেবারে প্রথমে ধরা পড়লে কয়েক ধরনের ক্যানসার থেকে সম্পূর্ণ সুস্থভাবে সেরে ওঠা যায়। তবে দেরি হয়ে গেলে মৃত্যুই ভবিতব্য ক্যানসারে। প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে বহু ক্যানসার রোগীই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। তবে এই রোগ ও তার লক্ষণ চিনে উঠে তা মোকাবিলা করার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সেরে ওঠার সম্ভাবনা। ক্যানসারের কয়েকটি ভাগের মধ্যে অন্যতম সার্ভিকাল ক্যানসার বা জরায়ুর ক্যানসার। উন্নয়নশীল দেশের মেয়েদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। জেনে নিন এই ধরনের ক্যানসারের প্রধান লক্ষণ সম্পর্কে।
অনিয়মিত রক্তপাতঃ শরীরের কোনও জায়গা থেকেই রক্তপাত কখনই ভালো বিষয় নয়। মেয়েদের গোপন জায়গার ভিতরে রক্তপাত হলে তা আরও চিন্তার বিষয়। যদি দেখেন অনিয়মিত ও অস্বাভাবিক হারে গোপনাঙ্গ থেকে রক্তপাত হচ্ছে, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পানির মতো সাদা স্রাব, সঙ্গে রক্তঃ আপনার শরীরকে আপনিই সবচেয়ে ভালো বুঝবেন। যদি দেখেন গোপনাঙ্গ থেকে সাদা স্রাব ও সঙ্গে রক্ত বেরচ্ছে এবং তা নিয়মিত হারে হচ্ছে, তাহলে তা এই কর্কট রোগের লক্ষণ। স্রাবে বিকট গন্ধ মহিলাদের স্রাবে একধরনের গন্ধ থাকে। তবে বাজে, বিকট দুর্গন্ধ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রস্রাবে সমস্যাঃ প্রস্রাব একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। যদি দেখেন প্রস্রাব করতে গিয়ে কোনওরকম অসুবিধা হচ্ছে, ব্যথা বা অস্বস্তি হচ্ছে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যৌন সম্পর্কের সময়ে ব্যথা যৌন মিলন সবসময়ই একটি সুখকর অনুভূতি। যদি দেখেন তা বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং যৌন মিলনের সময়ে অত্যন্ত বেদনাকাতর হয়ে পড়ছেন আপনি তাহলে তা জরায়ুর ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলির অন্যতম। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পা ফুলে যাওয়াঃ জরায়ুর ক্যানসারে কোনও অন্য কারণ ছাড়াই পা ফুলে যেতে পারে। তাই পা ফোলার সমস্যা থাকলে অবশ্যই বিশেষ নজর দিন নিজেকে। নিম্নাঙ্গে ব্যথা নিম্নাঙ্গে মহিলাদের প্রজনন অঙ্গে ব্যথা সার্ভিকাল ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ। উপরের কোনও লক্ষণের সঙ্গে যদি নিম্নাঙ্গে ব্যথাও অনুভূত হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মলত্যাগে সমস্যাঃ মল ত্যাগের সময়ে যদি নিয়মিত হারে সমস্যায় ভোগেন আপনি তাহলে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। মনে রাখবেন প্রতি ২ মিনিটে একজন করে নারী এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
পিবিএ/এমআর