প্রেম করার অপরাধে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা

পিবিএ ,টঙ্গী: গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় গাছা থানার বড়বাড়িস্থ জয়বাংলা রোডের লুনা ভবনের ৮ তলার পদ্ধা গার্মেন্টসের আয়রণ ম্যান মোস্তাফিজুর (১৮) নামে ছেলেটি একই গার্মেন্টসের শ্রমিক এবং পুরুষ খেকো অঞ্জনাকে ভালোবাসার কারনে প্রেমিকা অঞ্জনার বোন জামাইসহ গার্মেন্টস এর ইনচার্জ জাহিদী, সুপারভাইজার ফেরদৌস, লাইনম্যান জাহাঙ্গীর মিলে কারখানায় আটক করে বিচারের নামে প্রহসন ও কিশোরকে কারখানা থেকে ধরে তার বাসায় নিয়ে কৌশলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে নিহতের মা ফেরদৌসী বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

হত্যার সাথে জড়িত ও অভিযুক্ত ওইসব ব্যক্তিদের মধ্যে ৩জন ছেলেটির মৃত্যু নিশ্চত জেনে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে ছেলেটির মৃত দেহ টঙ্গীস্থ শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে গেছে বলেও জানা গেছে এবং নিহত ছেলেটি প্রেমিকা অঞ্জনাকে না পেয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্বহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালিয়েছে । অথচ নিহতের শরীরের কোন প্রকার ফাঁসির আলামত দেখা যায়নি ।

এদিকে জয়বাংলা রোডের স্থানীয়রা ছেলেটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন । এছাড়াও অঞ্জনা নামের ওই মেয়েটি তার ভগ্নিপতিসহ উক্ত কারখানার একাধিক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে । এই ঘটনায় মেয়ের বোনজামাইসহ ওই তিনজনকে আটক করলে সত্য বেরিয়ে আসবে, ছেলেটাকে হত্যার আগের দিনও ওই বোনজামাই ছেলেটিকে মারধর করেছে । মৃত্যুকালে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে । তবে ফাঁসি দেয়ার মতো কোন আলামত তার শরীরে ছিলো না । অন্যদিকে ছেলেটির বাবা বেচেঁ না থাকায় সে তার মা ও এক বোনকে নিয়ে ওই এলাকায় বসবাস করে আসছে এবং উক্ত কারখানায় তার মা ও সে কাজ করে । নিহত মোস্তাফিজ দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি থানার চিন্তামন রাধিকাপুর গ্রামের মৃত জুয়েলের ছেলে ।

খবর পেয়ে গাছা থানার এস আই সাব্বির টঙ্গীস্থ শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে । এব্যাপারে হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে এস আই সাব্বির জানান, লাশের গায়ে ফাঁসির কোন আলামত পাইনি, কিভাবে মারা গেছে ময়নাতদন্ত ছাড়া এখন বলা যাচ্ছে না । তবে নিহতের শরীরে, পায়ে, কপালে,ও গলায় সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন ।

ইকে/মৃণাল চৌধুরী সৈকত/ইকে

আরও পড়ুন...