পিবিএ ডেস্কঃ ডিম হল পুষ্টিতে ভরপুর। তাই তো বলে,”সানডে হো ইয়া মনডে রোজ খায়ে আন্ডে”। দিনের শুরু যদু ডিম দিয়ে করা যায় তাহলে তার থেকে ভাল আর কিছুই হতে পারে না। বিশেষজ্ঞদের মতে ডিম রক্তে শর্করার পরিমাণকে নিয়ন্ত্র করে। ফলে ব্রেকফাস্টে ডিম খেলে পেটটা অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। খিদে কম পায়। কিন্তু কিছু মিথের কারণে আজকাল অধিকাংশ স্বাস্থ্যসচেতন মানুষই ডিমের সাদা অংশ খেলেও ডিমের হলুদ অংশ অর্থাৎ কুসুম ফেলে দেয়। কিন্তু ডিমের কুসুমও শরীরের পক্ষে কতটা উপকারী তা অনেকেই জানেন না। এটা ঠিক যে ডিমের সাদা অংশের চেয়ে ডিমের কুসুমে অতিরিক্ত ক্যালোরি আছে, কিন্তু আপনার সাপ্তাহিক খাবারের তালিকায় ডিমের কুসুম থাকা মানে আপনার হাড় দীর্ঘায়ু হয়, ফলে বাতের ব্যথা বা এই ধরণের হাড়ের অসুখ চট করে হয় না। ডিমের কুসুম খাওয়ার উপকারিতা কী কী দেখে নিন।
পুষ্টি জোগায়ঃ এটা ঠিক যে ডিমের সাদা অংশের চেয়ে ডিমের কুসুমে অতিরিক্ত ক্যালোরি আছে, কিন্তু আপনার সাপ্তাহিক খাবারের তালিকায় ডিমের কুসুম থাকা মানে আপনার হাড় দীর্ঘায়ু হয়, ফলে বাতের ব্যথা বা এই ধরণের হাড়ের অসুখ চট করে হয় না।
ভিটামিন কেঃ ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন কে আছে এই ভিটামিন কে-র ফলে হাড় শক্ত হয়।
মস্তিষ্কের জন্যঃ ডিমের কসুমে কোলাইন আছে। যা মানুষের মস্তিষ্কের বিকাশ ত্বরান্বিত করে। মনোগোর ও আলজাইমারের মতো রোগ হওয়ার প্রবণতাকে এড়ানো যায় ডিমের কুসুমের সাহায্যে।
স্থূলত্ব থেকে বাঁচতেঃ অনেকে বলেন স্থূলত্ব রোগের ক্ষেত্রে ডিমের কুসুম খেতে নেই কারণ এতে ফ্যাট ও ক্যালোরি থাকে যার ফলে ডিমের কুসুম খেলে আরও মোটা হয়ে যেতে হয়। কিন্তু আদতে উল্টোটা। ডিম প্রচুর শক্তি আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ডিম রক্তে শর্করার পরিমাণকে নিয়ন্ত্র করে। ফলে ব্রেকফাস্টে ডিম খেলে পেটটা অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। খিদে কম পায়।
ক্যানসার প্রতিরোধঃ ডিমের কুসুমে ভিটামিন ডি রয়েছে। যার ফলে স্তন ক্যানসার ও অন্ত্রের ক্যানসারের সম্ভাবনা কমে।
রক্তের জন্যঃ রক্ত কণিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে ডিমের কুসুম।
কোলোস্ট্রল ও প্রদাহঃ আমাদের যকৃৎ প্রচুর পরিমানে কোলোস্ট্রল উৎপাদন করে। কিন্তু ডিমের কুসুম খেলে কম কোলেস্ট্রল উৎপাদন করে। ফলে শরীরে কোলোস্ট্রলের সমতা বজায় থাকে। ডিমের সাদার সঙ্গে কুসুমও খেলে শরীরের প্রদাহ সমস্যা কমে।
ব্রেন স্টোকঃ লোহিত রক্ত কণিকা ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারি ডিমের কুসুম। ডিমের কুসুম লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করে ও মস্তিষ্কে অক্সিজেন স্তরকে বৃদ্ধি করে। এর ফলে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
চোখের জন্য উপকারিঃ বয়স্কদের ক্ষেত্রে ডিম খেলে চোখের সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায়। চোখে ছানি পরার সম্ভাবনাও কমে।
পিবিএ/এমআর