কফি খাওয়ার সঙ্গে ক্যানসারের চিকিত্সা বা ক্যানসার রোগীদের মৃত্যু বা ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার কোনও যোগ নেই। QIMR-এর নতুন গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। এপিডেমিওলজি নামের আন্তর্জাতিক জার্নালে এমন তত্ত্ব প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ রোজ কফি পান করার পরও তাঁদের ক্যানসারের সঙ্গে কোনও যোগ তৈরি হয়নি।
গবেষকরা বলেছেন, কফি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়। কিন্তু এই কফি নিয়ে ক্যানসারের সঙ্গে নানা মিশ্র ভাবনা রয়েছে। তবে নতুন গবেষণার পর তাঁদের দাবি, ‘আপনি দিনে কত কাপ কফি পান করেন, তার সঙ্গে কোনও নির্দিষ্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই।’
কফি আমাদের সতেজতা দান করে, শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা বাড়ায়।
কফি ত্বকে মেলানোমা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
কফি ২০% পর্যন্ত মেলানোমার ঝুঁকি কমাতে পারে। গবেষকরা ১০ বছর ধরে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫৭ জন মানুষের স্বাস্থ্য ও ডায়েটিং তথ্য পর্যালোচনা করে দেখেছেন যে, অধিক মাত্রায় কফি পান করার সঙ্গে ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যাওয়ার বিষয়টি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।
কফি কী কোলন ক্যানসার (মলাশয়ে ক্যানসার) দমন করতে পারে?
সম্ভবত, কফি সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে কোলন ক্যান্সারের জন্য। ২০১৪ সালে প্রায় ৮ হাজার ৫০০ ইজরায়েলি নাগরিকের ওপর গবেষণা করে জানা গেছে যে, প্রতিদিন কমপক্ষে দুই কাপের কাছাকাছি কফি গ্রহণ করলে কোলন ক্যানসার হবার ঝুঁকি প্রায় ৩০% কমে যায়।
কফি পানে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে
কফি স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও দারুন কার্যকরী। গবেষকরা ৬ হাজারের বেশি পোস্টমেনোপজাল নারীদের স্বাস্থ্য ও ডায়েট তথ্য নিয়ে সমীক্ষা করেছেন। তাঁরা দেখেছেন যে, যেসব নারীরা দিনে কমপক্ষে ৫ কাপ করে কফি পান করেন তাদের ৫৭% ঝুঁকি কমে যায় হরমোন-রিসেপটর-নেগেটিভ ব্রেস্ট ক্যানসারের।
কফি প্রস্টেট ক্যানসারের (মূত্রথলির ক্যানসার) অগ্রগতি প্রতিরোধ করে
প্রস্টেট ক্যানসারের ক্ষেত্রেও কফির উপকারিতা প্রযোজ্য। ২০১৩ সালের একটি গবেষণাতে দেখা যায় যে, যারা দিনে চার কাপের বেশি কফি খান তাদের প্রোস্টেট ক্যানসারের পুনরাবৃত্তি এবং অগ্রগতি ঝুঁকি কমে ৫৯%। এই গবেষণা করা হয়েছিল সেসব পরিবারের ওপর যাদের ক্যানসার থেকে লড়াই করে বাঁচার ইতিহাস রয়েছে।