পিবিএ,ঢাকা: সকাল ৮টায় জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্যকোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।
আসন্ন ঈদুল আজহা উদযাপনের জন্য সরকারি কর্মসূচি নির্ধারণকল্পে রোববার (২১ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ আগস্ট (সোমবার) ঈদুল আজহা উদযাপিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন জানান, সভায় যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে বাণী দেবেন।
সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় পতাকা ও ‘ঈদ মোবারক’ লিখিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোস্টে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত হয় সভায়। এছাড়া ঈদুল আজহার দিবাগত রাতে নির্দিষ্ট সরকারি ভবনে ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়- সারাদেশে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বেসরকারি সংস্থার প্রধানরা জাতীয় কর্মসূচির আলোকে নিজ নিজ কর্মসূচি প্রণয়ন করে ঈদুল আজহা উদযাপন করবে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যম যথাযোগ্য গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার ও সংবাদপত্রে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হবে।
দিনটি উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশন যথাযথভাবে ঈদুল আজহা উদযাপন করবে। সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সংগতিশীল ডকুমেন্টারি ফিল্ম/চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। এসব তৈরির ক্ষেত্রে অন্যান্য মুসলিম দেশের ধর্মীয় অনুষ্ঠান, রীতি ও রেওয়াজকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন আঙ্গিকে নতুন ধারার অনুষ্ঠানমালা তৈরির অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয় সভায়।
ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকিটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সক শিশুপার্কে প্রবেশ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকিটে ঢাকা যাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, লালবাগের কেল্লাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে প্রবেশ এবং তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
কোরবানি পরবর্তী পশুর বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয় যে, পশুর রক্ত/বর্জ্যে যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধময় না হয় সে বিষয়ে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঈদুল আজহার আগে জুমার খুৎবায় এ বিষয়ে মুসল্লিদের সচেতন করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনতা মূলক আলোচনা ও বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী হাসান আহমেদ ও মোয়াজ্জেম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পিবিএ/ ইকে