ওবায়দুল ইসলাম রবি, পিবিএ, রাজশাহী: আর্শ্চয্য হলেও বাস্তব গল্পে পরিনিত হচ্ছে ছেলে ধরা। এক সময় নানী, দাদী তাদের নাতীনদের গল্পের ছলে “ছেলে ধরা আসছে ঘুমিয়ে পর” গল্প বলে ঘুম পারাতেন। আজ ছেলে ধরার আততায়ীর আতঙ্কে সবায় আজ নিজ আশ্রয়স্থলে। কিন্ত কিভাবে হবে এর প্রতিকার? একশ্রেনীর মানুষ নামের হায়নারা সুযোগ সন্ধানে রক্ত পিপাষু হয়ে উঠেছে।
আড়ালে আবডালে চুপটি করে বসে ছেলেধরার দল শিকার করছে নিষ্পাপ সন্তান, মাঝে মধ্যে সকল বয়সের লোকরাও রেহায় পাচ্ছে না তাদের তোপের মূখ থেকে। দেশের জেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ছেলে ধরার আক্রমনে প্রান নাশের খবর ভেসে আসছে যা অনেক কষ্টের।
যে গল্পটি ছিল নেহাত অযুহাত করে নানী ও দাদীরা তাদের নানীতদের সাথে একটু মসকরা করতো। কিন্ত আজ তার বাস্তব রূপ নিয়েছে হত্যার খেলায়। কি তাদের উদ্দেশ্য? কিবা তাদের পরিকল্পনা? কেনই বা তারা এগুলো করছে? এই প্রশ্নের উত্তর গুলো জনতার সামনে তুলে ধরতে হবে। কুসংস্কার থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বর্তমান আধুনিক সভ্যতার সময়ে কেন পূর্ব পরুষের আমলের গল্প বাস্ত রূপ নিচ্ছে?
বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর স্থাপনা অনেক বড় এবং মানুষ কর্তৃক সৃষ্ট কি তা নিয়ে চিন্ত হয়। কিন্ত ছোট এদেশে কেন তার বিপরীত ঘটছে। সেতু নির্মাণে যদি রক্তের প্রয়োজন হয় তাহলে সকল উপকরণ ব্যবহারের কি প্রয়োজন। পবিত্র কুরআনসহ সকল ধর্মের গ্রন্থের কোথাও দৃষ্ঠান্ত নেই যে বড় স্থাপনার জন্য বলিদান দিতে হবে। বিশে^র বহু দেশের নদী ও সগরের উপর সেতু নির্মান হয়েছে। তাদের ইতিহাসের পাতায় কিন্ত ছেলে ধরার গল্প নেই তবে কেন এই রকম বিচ্ছিন্ন ঘটনা এদেশে ঘটছে।
কুসংস্কার থেকে পরিত্রান পেতে সকল আইন শৃঙ্খলা বাহীনিকে আরো সজাগ হতে হবে। অনুসন্ধান করে উৎঘাটন করতে হবে কে এই ছেলে ধারার প্রবত্তক ? অন্যথায় আমাদের স্ত্রী, সন্তান, বোন এর শিকার হতে পারে মিথ্যা প্রবলচনায়। ঊদুমধুম সমালোচনার ঝড়ে অনকে গুলো জীবন্ত প্রান ইতোমধ্যে পৃথীবির বুক থেকে চিরবিদায় নিয়েছে। কিন্ত পদ্মা সেতু নির্মাণে রক্ত প্রয়োজন আছে তার ভিত্তি ও প্রমানের এখন অবদি সঠিক কারণ খুজে পাওয়া যায়নি।
ভবিষ্যৎ জানবার জন্য এ উদ্দাম আগ্রহ প্রত্যেকের মনে জাগরিত হয় কিন্ত অতীতকে নিয়ে নয়। দৃশ্যমান বিষয়ের বিভিন্ন অংশের আকৃতি দূরত্ব নৈকট্য প্রভৃতি চিত্রে প্রতিফলন, পটভূমি, পরিবেষ্টনী, পারিপার্শিক চিন্তা চেতনা নিয়ে কাজ করতে হবে। স্ব স্ব স্থান থেকে নিজ দায়িত্ব পালনেই এর উত্তর পাওয়া যাবে। দেশের সকল আইন শৃঙ্খলা বাহীনির সম্বনয়ে প্রচেষ্টা ছেলে ধারার গুজব এর প্রতিকার করা সম্ভব।
পিবিএ/রবি/জেডআই