ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত বুঝবেন যেভাবে

পিবিএ : জীবনযাত্রার মান যত উন্নত হচ্ছে, পারিপার্শ্বিক পরিবেশর হাল ততই বেহাল হচ্ছে। আর বিভিন্ন দূষণে শরীর খারাপের নানান দিক উন্মোচিত হচ্ছে। প্রতিদিনের দূষণ, ধুলো-বালি, এবং নানান কারণে চেনা অচেনা রোগের প্রকোপ রোজ বেড়েই চলেছে। অনেকেই প্রথমে বুঝতে পারেন না যে তার ফুসফুসে সংক্রমণ আছে। ছোটখাটো ডাক্তার দেখিয়ে বা হাতের মুঠোয় থাকা বাজারি ওষুধ খেয়ে শরীর খারাপ প্রশমিত করার চেষ্টা করেন। যখন এই সংক্রমন আপনাকে পুরোপুরি নিত্যনৈমিত্তিক কাজ থেকে কাবু করে ফেলে, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়ে ব্রঙ্কাইটিস বা ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিসিজ (সিওপিডি) হতে পারে।

দূষণ ভরা জায়গায় থাকলে বা অতিরিক্ত ধূমপান করলে ফুসফুস সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি থাকে।এ ছাড়া দীর্ঘদিন বুকে লেগে থাকা ঠাণ্ডার কারণেও সংক্রমণ হতে পারে। অনেকেই বুঝতে পারেন না ফুসফুস সংক্রমণ হয়েছে কি না? তবে বেশ কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো দেখে সহজেই বোঝা যাবে আপনার ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে।

ফুসফুসে রোগ হলে বুঝবেন যেভাবে-

শ্বাসকষ্ট

ব্রঙ্কাইটিস রোগীদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট খুব পরিচিত বিষয়। কিন্তু সাধারণ মানুষ যার-এই রোগ নেই কিন্তু বহুদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, হতে পারে তারা ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছেন। এই সংক্রমণে ঘন ঘন শ্বাস নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

শরীরে অক্সিজেন কম যাওয়ার কারণে হৃদস্পন্দনের হার বেড়ে যায়। অল্প কাজেই হাঁপিয়ে পড়তে থাকেন। যেকোনো চলাফেরা বা ঘরের কাজেও দুর্বলতা অনুভব করতে থাকেন। অনেক সময় এর কোনো স্থায়ী সমাধান না থাকার জন্যে রোগীকে আজীবন ইনহেলারের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয়।

জ্বর

এই সংক্রমণ হলে সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা বাড়বে। ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে। গায়ের তাপমাত্রা ওঠানামা করবে। ঘাম দিয়ে কখনো জ্বর ছাড়তে পারে। এই লক্ষণগুলো ব্যাকটেরিয়াল জ্বরের সময় হতে পরে। কিন্তু বেশিদিন একইভাবে থাকলে সেক্ষেত্রে এই জ্বর যথেষ্ট দুশ্চিন্তার কারণ। খাওয়া-দাওয়াতে অনিচ্ছা চলে আসবে। মুখে রুচিও থাকবে না।

শ্লেষ্মার পরিবর্তন

এই সংক্রমণে আপনার কাশির সঙ্গে উঠে আসা শ্লেষ্মারের কিছু পরিবর্তন আপনি নিজেই অনুভব করতে পারবেন। সাধারণত কাশির সঙ্গে যেমন কফ বেরোয়, তার থেকে অনেকটাই ঘন এবং চটচটে হতে পারে। এমন কি সংক্রমণের প্রকার এবং সময় ভেদে এর রঙের পরিবর্তনও আসতে পারে।

অনেক সময় শ্লেষ্মার সঙ্গে রক্তের উপস্থিতি দেখা যেতে পারে। অতিরিক্ত শ্লেষ্মার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় এই সময়। অল্প একটু ঠাণ্ডা লাগলেই মনে হবে বুকে কফ বসে আছে।

বুকে ব্যথা

ফুসফুসের সংক্রমণে বুকে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। বেশি ব্যথা বোঝা যাবে কাশির সময়।ব্রঙ্কাইটিস রোগীরা সবথেকে বেশি এই সমস্যা অনুভব করেন। এ ছাড়াও মনে হবে বুকের ভেতরের দেয়ালে চাপ লাগছে। অনেক ক্ষেত্রে এই ব্যথাকে প্লিউরিতিক ব্যথা বলে থাকেন চিকিৎসকেরা।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...