প্রচণ্ড টেনশন কমাবেন যেভাবে

পিবিএ: গুরুত্বপূর্ণ কোনো পরীক্ষা বা কাজে অংশ নেয়ার আগে শরীর কাঁপুনি দেয়, ভয় করে, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যায় বা খুব ঘাম হতে থাকে? আর এসব নিয়ে অনেকেই হীনমন্যতায় ভুগতে থাকেন। তবে চিকিৎসকদের মতে, এই নিয়ে অকারণ ভয়ের কিছু নেই। কারণ এটি শারীরিক সমস্যা নয়, মনের সমস্যা। এছাড়া কিছু নিয়ম মেনে চললে এই সমস্যার সমাধানও হবে।

তবে তার আগে জেনে নেয়া জরুরি যে আপনি কেন শিকার হচ্ছেন এই সমস্যার? বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক সময়ে নানা কারণে আমাদের মানসিক চাপ এখন অনেক বেশি। আবার সকলের চাপ নেয়ার ক্ষমতাও সমান নয়। তাই অত্যধিক চাপ ও চাপজনিত স্নায়ুবিক সমস্যা এর জন্য দায়ী।

উপসর্গ

মাথার ভিতর নানা দুশ্চিন্তা বাড়লে তা স্নায়ুর উপর চাপ ফেলে। এ থেকে হতে পারে নার্ভাস ব্রেকডাউন।

টেনশনে খিদে কমে যাওয়া বা শ্বাসকষ্টও নার্ভাস ব্রেক ডাউনের লক্ষণ।

ঘন ঘন হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে আসা, অজানা ভয় ও হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে তাও নার্ভাস ব্রেকডাউনের অন্যতম উপসর্গ।

অনেকেরই নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ বা পরীক্ষার সময় ঘন ঘন পেটের সমস্যা দেখা যায়। এমন হলে বুঝতে হবে, নার্ভাস ব্রেকডাউনের খুবই প্রাথমিক স্তরে রয়েছেন।

কোনো আঘাত থেকে কিংবা বড় কোনো কাজ এলে অনেকেরই মাথা ব্যথা শুরু হয়। এমন কি ভয়ে বমি পর্যন্ত হতে পারে। কাঁপুনি দিয়ে জ্বরও আসে কোনো কোনো ক্ষেত্রে।

সমাধান

প্রথমেই মনে জোর পাবেন এমন কোনো কিছু ভাবুন। এই সময় রোগীর চেয়েও তার চারপাশের মানুষদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

সন্তানের এই সমস্যা হয় প্রত্যাশার চাপ থেকে। মা বাবাকে বুঝতে হবে যে কোনো সাফল্যের চেয়ে তার সুস্থ জীবন অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

মন ভাল করতে পারে অথবা চাপ কমাতে পারে এমন কিছু করুন। বিশেষ করে কোনো খেলা বা মজার ভিডিও দেখুন।

চাপ তৈরি না করে বরং তার কাজে সে সফল এবং তার সাফল্যে আপনারা কতটা খুশি সেটা বোঝান।

কিছুতেই টেনশন কাটছে না কিংবা এই ধরনের সমস্যা দিনে দিনে বাড়ছে দেখলে মনোবিদের সাহায্য নিন।

কারো কারো ক্ষেত্রে বিশেষ কিছুতে ভয় থাকে। জোর করে ভয় কাটাতে গেলে সমস্যা আরো বাড়তে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...