প্রথম শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন পঞ্চম শ্রেণি ছাত্রী !

পিবিএ,মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আলীনগর ইউনিয়নের ছলিম বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী। ছলিম বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ মোট পাঁচজন, তবে দুইজন শিক্ষিকা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন, বাকি তিন জনেই ক্লাস নেওয়ার কথা থাকলেও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছলিম বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন একই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী।

শিক্ষিকার দায়িত্বে থাকা ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ক্লাস নেওয়ার জন্য কে দায়িত্ব দিয়েছেন এমন প্রশ্ন করলে শিক্ষিকার দায়িত্বে থাকা স্কুুল ছাত্রী স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকার ভয়ে কিছু বলেনি। স্কুলের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায় সহকারী শিক্ষক রেভারানী দেবী একটি ক্লাস নিচ্ছেন।

ছাত্রীর ক্লাস নেওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি কিছু বলেননি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সেবিতা রানী দেবী ও সহকারী শিক্ষক নর্মলেন্দু চন্দ্র ক্লাস বাদ দিয়েই স্কুল সময়ে স্কুলের উপকরন কেনাকাটার জন্য বাজারে গিয়েছেন আর তাদের এই দুইজনের ক্লাস নিচ্ছেন পঞ্চম শ্রেণীর ওই ছাত্রী।

সম্প্রতি ওই স্কুলে গিয়ে দেখা যায় তার ভিন্ন চিত্র ওই ছাত্রী সকাল ১১ টায় স্কুলে এসে ক্লাস নিচ্ছেন প্রথম শ্রেণীর তার মানে কি পূর্ব থেকেই পরিকল্পিত ছিল এরকম ক্লাস নেওয়ার নাকি প্রতিনিধি এভাবেই চলচ্ছে।

এ বিষয়ে ছলিম বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরী মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি পিবিএ’কে বলেন,এটা নতুন কিছু না এধরনের ঘটনা এই স্কুলে প্রতিনিয়তই ঘটছে। আমরা একাধিক বার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েও কোন সূরহা পাইনি।

এ বিষয়ে সলিম বাজার সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সেবিতা রানী দেবী বলেন,স্কুলের ক্লাস যেমন গুরুতর্পূণ ঠিক সেভারে প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপকরন ক্রয় করা গুরুতর্পূণ। তাই আমি আমার সহকারী শিক্ষক নির্মলেন্দু চন্দ্র সাহেবকে সাথে নিয়ে মৌলভীবাজার জেলা সদরে গিয়েছি।

বিদ্যালয়ের উপকরন ছুটির দিন ক্রয় করলে কি হত, এমন প্রশ্নের উওর পাওয়া যায়নি, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে। কমলগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন,বিদ্যালয়ের ক্লাস ফেলে উপকরন ক্রয় করা কোন নিয়ম নেই। তবে এ বিষয়টির খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্তা নিবেন বলেন। কমলগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত র্নিবাহী কর্মকর্তা নাসরিন চৌধুরী পিবিএ কে বলেন,বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো ও প্রয়োজনীয় ব্যাবস্তা নিবো।

পিবিএ/মোঃ আহাদ মিয়া/ইকে

আরও পড়ুন...