৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

পিবিএ: ৩১৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় টিম টাইগার। তামিম-মিঠুনের পর সাজঘরে ফিরেছেন সৌম্যও। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ।

ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারছেন না টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নতুন করে শুরু করতে চেয়েছিল বাংলাদেশের সেরা এই ওপেনার। কিন্তু ৩১৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুন্য রানেই ফিরতে হয়েছে তামিমকে। বাংলাদেশকে বড় রানের টার্গেট দিয়ে নিজের শেষ ম্যাচে শুরুতেই বল হাতে নিয়েছেন লঙ্কান কিংবদন্তি মালিঙ্গা। প্রথম ৪ বল ডট দিয়ে ৫ম বলে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে বোল্ড করেন তামিমকে।

পরের ওভারেই সৌম্যকে বোল্ড করে দেন মালিঙ্গা। এরপর দলের ৩৯ রানে ফিরে যান মাহমুদুল্লাহ। সেখান থেকে বাংলাদেশ মুশফিক-সাব্বিরে শতক ছাড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ২২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১২ রানে ব্যাট করছে। মুশফিকুর রহিম ২৬ রানে ব্যাট করছেন। সঙ্গে সাব্বির রহমান ক্রিজে আছেন ৪১ রান করে। মোহাম্মদ মিঠুন ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। সৌম্য সরকার করেন ১৫ রান। তামিম ইকবালের নেতৃত্বের অভিষেক হয় পাঁচ বলে ডাক মেরে। মাহমুদুল্লাহ করতে পারেন ৩ রান।

এর আগে কুশল পেরেরা এবং অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইনিংসের ভিত্তি গড়ে নেয় শ্রীলংকা। তারা ৯৭ রান যোগ করেন। এক প্রান্তে ঝড় তোলেন কুশল পেরেরা। অন্য প্রান্তে উইকেট ধরে রেখে করুনারত্নে ফেরেন ৩৬ রান করে। ঝড় তোলা কুশল ফেরেন ৯৯ বলে ১১১ রান করেন। তিনে নেমে এই উইকেটরক্ষক ১৭ চার এবং এক ছক্কা হাঁকান।

কুশল পেরেরাকে দারুণ সঙ্গ দেন চারে নামা কুশল মেন্ডিস। তিনি ৪৩ রান করে রুবেল হোসেনের বলে ফেরেন। মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। কিন্তু উইকেটরক্ষক মুশফিক কিংবা বোলার রুবেল বুঝতে পারেননি তা। আউটের আবেদন না দেখে আম্পায়ারও ছিলেন নির্বিকার। কিন্তু সততা দেখিয়ে মেন্ডিস সাজঘরের পথ ধরেন। দুই কুশল মিলে যোগ করেন পুরোপুরি একশ’ রান।

শেষ দিকে রান বাড়ানোর দায়িত্ব বুঝে নেন অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস। তিনি খেলেন ৫২ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। শেষ দিকে অবশ্য খুব একটা চড়াও হতে পারেননি তিনি। তার সঙ্গে থাকা লাহিরু থিরিমান্নের ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ২৫ রান। তারা একটা ঝড় তুলতে পারলে সাড়ে তিনশ’র ধাক্কা নিত লংকানদের রান। শেষ দিকে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা কিছু রান যোগ করেন।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...