গতকাল রোববারই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় শপথের মধ্য দিয়ে তাদের অভিষেকের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বঙ্গভবনে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বঙ্গভবনের দরবার হলে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পড়াবেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে প্রধানমন্ত্রী এবং পর্যায়ক্রমে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীরা শপথ নেবেন।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। গতকালই তিনিই সংবাদ সম্মেলন করে ৪৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভার নাম এবং দপ্তর জানিয়ে দিয়েছেন। রেওয়াজের বাইরে গিয়ে শপথের আগে মন্ত্রীদের তালিকা প্রকাশ ছিল এবারের বড় চমক।
এই শপথের মধ্যে দিয়েই টানা তৃতীয়বারের মত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ।
রাষ্ট্র পরিচালনায় এবার শেখ হাসিনার সঙ্গী হচ্ছেন ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী। একাদশ সংসদ নির্বাচনে অভাবনীয় জয়ের পর শেখ হাসিনা তার নতুন সরকার সাজিয়েছেন মূলত নতুনদের নিয়ে। বিদায়ী সরকারে থাকা ৩৬ জনের নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান হয়নি। নতুন সরকারের ৩১ জনই প্রথমবারের মত সরকারের দায়িত্ব পালন করতে আসছেন।
শেখ হাসিনা তার আগের তিন সরকারে শরিক দলের নেতাদের মন্ত্রী করলেও তাদের কাউকে ডাকেননি। পুরোপুরি আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়েই হচ্ছে তার নতুন সরকার।
নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলেই ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি গঠিত পুরনো সরকারের দায়িত্ব শেষ হবে। যারা মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় উপদেষ্টা ছিলেন, মন্ত্রিসভার শপথের আগেই তাদের অব্যাহতি দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী পরে নতুন করে উপদেষ্টা নিয়োগ দেবেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘শপথের সব প্রস্তুতিই ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। যথাসময়ে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথ পড়ানো হবে।’
বঙ্গভবনের একজন কর্মকর্তা জানান, শপথ অনুষ্ঠানের জন্য দরবার হলে এক হাজারের মত অতিথির বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামনের সারির চেয়ারগুলোতে যারা বসবেন তাদের নামের ট্যাগ ইতোমধ্যে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।
পদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ অতিথিদের দাওয়াতপত্র পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে আগেই।
দরবার হলে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথ মঞ্চ সাজানো হয়েছে ফুল দিয়ে। একসঙ্গে শপথ নেওয়ার সুবিধার জন্য বসানো হয়েছে মাইক স্ট্যান্ড। শপথ অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গভবনের মাঠে থাকছে আপ্যায়নের ব্যবস্থা।