আমরা নাকি বন্যা নিয়ে রাজনীতি করছি : নজরুল ইসলাম খান

বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

পিবিএ,জামালপুর: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আজকে সারাদেশের একটা বড় অংশ বন্যায় কবলিত হয়ে পড়েছে। আমরা যখন প্রথমে বললাম যে দেশে বন্যা হচ্ছে, বন্যাদুর্গত মানুষদের জন্য এখনই প্রস্তুতি নেন যাতে করে তাদের কষ্ট কম হয়। তখন সরকার আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলো আমরা নাকি বন্যা নিয়ে রাজনীতি করছি। যখন মানুষের ডেঙ্গু হওয়া শুরু হলো, বেশ কিছু মানুষ ডেঙ্গুতে মারাও গেছে। আমরা যখন বললাম এটা একটি মহামারি রূপ নিচ্ছে তারাতারি এটা প্রতিরোধের ব্যবস্থা করেন, না হলে আমাদের দেশের সাধারণ অনেক মানুষ মারা যাবে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলো আমরা গুজব ছড়াচ্ছি ভীতি ছড়াচ্ছি। আজকে ডাক্তার মারা গেল, নার্স মারা গেল। বিভিন্ন জায়গার হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী রাখার জায়গা নাই।

বলা হচ্ছে শত শত লোক মারা যাচ্ছে, হাজার হাজার লোক হাসপাতালে ভর্তি। আমরা যখন বলি এদেশের কিছু দুর্নীতিবাজ লোক তারা দেশটাকে চুষে খেয়ে ফেলছে, তখন বলা হয় আমরা সমালোচনা করি অন্যায় করি। সোমবার সকাল সাড়ে এগারটার দিকে জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জামালপুর সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন মিলনের সভাপতিত্বে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, ডা. এ.জেড.এম জাহিদ হাসান, বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরিফুল আলম প্রমুখ। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন।

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, আজকের পত্রিকায় দেখেছেন সিলেটের এক ডিআইজি প্রিজনের বাড়ী থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আপনারাই বলেন ডিআইজি প্রিজন কত টাকা বেতন পায়? এরআগে রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্রে বালিশ দুর্নীতির কথা আপনারা শুনেছেন। একটা বালিশ তৈরি করতে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা লেগেছে।

তিনি সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বাড়ীঘর ডুবে গেছে। ক্ষেতের ফসল ডুবে গেছে। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা সরকারকে বলতে চাই এই এলাকাকে বন্যাদুর্গত এলাকা ঘোষণা করে যতদিন পর্যন্ত দুর্যোগ থাকবে ততদিন দুর্গত এলাকার মানুষকে বিনামুল্যে খাদ্য, চিকিৎসা, বস্ত্র ও শিক্ষা উপকরন দিতে হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে বিনামুল্যে সার, বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ করতে হবে। বন্যাকবলিত এলাকার কৃষকের সকল প্রকার ঋণ সুদসহ মওকুফ করতে হবে।

তিনি বলেন, যারা বন্যা রোধ করতে পারে না, নদী শাসন করতে পারে না সরকার সবকিছুতেই ব্যর্থ হয়েছে। জামালপুর সদরের কেন্দুয়া ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী সিরাজুল হক, জামালপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান বিপ্লব ও শফিউর রহমান সফি, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক খান দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খান সজিব, মহিলা দলের নেত্রী সেলিনা বেগম, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক জীবন কৃষ্ণ বসাক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার ইসলাম কর্ণেল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা খান ও জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আব্দুল হালিমসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পিবিএ/মুকুল রানা/জেডআই

আরও পড়ুন...