পিবিএ,ঢাকা: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফারজানা নামে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে ঢামেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ এ। এদের মধ্যে ৬ জনই নারী।
অপরদিকে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) দুই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
তারা হলেন- বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর এলাকার নাসির খানের ছেলে আসলাম খান (২৪) ও পিরোজপুর জেলার কাউখালি উপজেলার গোসনতারা এলাকার আদম আলীর ছেলে সোহেল (১৮)।
মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন।
তিনি জানান, মৃত আসলাম খান সোমবার (২৯ জুলাই) দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৩ নম্বর ইউনিটে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফারজানা (৪০) নামে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার দিনগত রাত পৌনে ২টায় চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। ফারজানা তার পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন এলাকায় থাকতেন। ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. নাসিরউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ফারজানা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ছিলেন। সোমবারই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তাকে আইসিইউতে নেয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে জুন-জুলাইয়ে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে আটজন মারা গেলেন; যার মধ্যে ছয়জনই নারী।
অপরদিকে সোহেলকে সোমবার রাত দেড়টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৩ নম্বর ইউনিটে ভর্তি করান তার স্বজনরা। রাত পৌনে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, উভয় রোগী আগে থেকেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ঢাকায় তাদের ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত হওয়ার পরেও সঠিকভাবে চিকিৎসা না করিয়ে তারা কেন বাড়িতে এসেছেন তা জানি না। তারা খুবই খারাপ অবস্থায় এসেছিলেন। বিষয়টি আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক যে, আমাদের হাসপাতালে দুইজন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলো।
এদিকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ২৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে ৯ জন নারী, ৫ জন পুরুষ রয়েছেন। আর এ পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে মোট ৬৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ৩৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
পিবিএ/বাখ