মাথা ব্যথা হলে করণীয়

পিবিএ: মাইগ্রেন সাধারণ মাথা ব্যথা নয়। অবর্ণনীয় যন্ত্রণা, অবসাদ ও সংবেদনশীলতা ভর করে আক্রান্ত ব্যক্তির ওপর। তারা মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাধারণত চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধেই ভরসা করে। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে এর তীব্রতা ও স্থায়িত্ব কমিয়ে আনা যায়। এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো সাধারণ মাথা ব্যথা উপশমেও কাজে লাগতে পারে।

ফাস্টফুড নয় : বার্গার বা হটডগের মতো খাবারগুলো পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে। এসব জাঙ্কফুড ‘মাইগ্রেন ট্রিগার’ নামে পরিচিত। এসব প্রক্রিয়াজাত খাবারে নাইট্রেট, লবণ ও কৃত্রিম চিনি থাকে। এসবই মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া আচার, শুকনো খাবার ও অ্যালকোহলের মতো পানীয় মাইগ্রেনের চিরশত্রু। তবে অনেকের জন্য সামান্য পরিমাণ ক্যাফেইন বেশ আরাম দিতে পারে।

ল্যাভেন্ডার তেল : এর গন্ধ মাইগ্রেনের ব্যথা উপশম করে। ২০১২ সালের এক গবেষণায় তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর গন্ধ সরাসরি বোতল থেকে কিংবা পানিতে মিশিয়ে নেওয়া যায়।

পুদিনার তেল : এ তেল কপাল ও মাথার তালুতে মালিশ করে নিলে মাইগ্রেনের ব্যথার বেশির ভাগটাই কমে যায়। সেই সঙ্গে অবসাদ এবং আলোয় সংবেদনশীলতা কমে আসে।

আদায় ভরসা : অনেক ধরনের বেদনা নিরাময়ে আদা বেশ কার্যকর খাবার। আদার গুঁড়া মাইগ্রেন ব্যথার তীব্রতা কমায়। বেশিক্ষণ টিকতেও দেয় না। অন্যান্য ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতেও আদা অনন্য।

ইয়োগা : উন্নত দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ইয়োগা দারুণ। শ্বাস-প্রশ্বাস, মেডিটেশন ও শারীরিক কসরতের মাধ্যমে ইয়োগা সম্পন্ন হয়। এর চর্চায় মাইগ্রেন আক্রমণের ঝুঁকি কমে আসে। ব্যথাও দ্রুত উপশম হয়। মাইগ্রেনের ব্যথায় উদ্দীপনা জোগায় এমন অংশের উত্তেজনার প্রশমন ঘটায় ইয়োগা। যদিও একে মাইগ্রেন সামলানোর একেবারে প্রাথমিক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবু এর চর্চা থাকলে এ ব্যথায় কাতর হতে হয় না।

ম্যাগনেশিয়াম : দেহে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব সরাসরি মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের সঙ্গে জড়িত। ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড প্রয়োগে তীব্র ব্যথাও কমে আসে। বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, তিল, কাজু বাদাম, চিনা বাদামের মাখন, ওটমিল ও ডিম থেকে মিলতে পারে এই প্রয়োজনীয় খনিজটি।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...