পিবিএ ডেস্ক: বাংলাদেশের গায়ক নোবেলকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে জি বাংলার কর্মকর্তা অরিন্দম মুখপধ্যায়। তিনি ব্যাখা করেছেন নোবেল কেন যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, নোবেলের হলেন একজন মনোটোনাস গায়ক। তার গায়কি ভার্সেটাইল নয়।এ কারণেই নোবেল তৃতীয় হয়েছেন। তিনি লিখেন, একজন মোনোটোনাস গায়ককে নিয়ে কাল থেকে চরম ফাস্ট্রেশান বাঙালি জনতার। এই কারণেই অধিকাংশ রিয়েলিটি শোয়ে ডিসার্ভিংরা জেতে না। যদি বিচারক না থেকে শুধু পাবলিক ভোট থাকতো নোবেল প্রথম হয়ে যেত। যাই হোক অনেককে দেখছি ওকে অরিজিৎএর সঙ্গে তুলনা করছে। বলছি আপনাদের কি মাথাটা একেবারেই গেছে? ভারতের এই প্রজন্মের অন্যতম ভার্সাটাইল গায়কের সঙ্গে একজন মোনোটোনাস একঘেয়ে গায়কের তুলনা করছেন। পারলে গিয়ে বলিউড হাঙ্গামায় বেফিকরে রিলিজের সময় বিশাল, শেখরের ইন্টারভিউটা চালিয়ে দেখুন।
একটা মেয়ে, দুজন অতিমানবীয় পুরুষ কণ্ঠের গান অন স্টেজ একা ওতরাচ্ছে। এটা কি শক্ত কোনো ধারণা নেই বোধ হয় আপনাদের। সুদেশ ভোঁসলে এবং এস পি মিলে একবার অনস্টেজ চতুরনার নামাতে পারেননি। তাল কেটে গেছিলো সামান্য। পরে এডিটিং এ ঠিক করে দেওয়া হয়। তোশি, হরসিতর নাম জানেন। রাজস্থানের অতিব গরীব বাড়ির ছেলে। রাজ দ্যা মিস্ট্রির, তুঝ মে হ্যায় কুছ অ্যায়সি শুভাসা গানটা মনে আছে। ওটা তোশি ও তার ভাইয়ের সুর এবং তোশির গাওয়া। মার্ডার ২, হালে দিল হরসিতের গাওয়া এবং সুর। এরা কেউই প্রথম হয়নি। অনীক ধরের হিন্দী সারেগামাপায়ে পাকিস্তানের একটি ছেলে ছিলো। আমানত আলি। অনেক বেশি ভার্সাটাইল। অসামান্য গায়কী। কিন্তু তখন কেউ বলেননি কিছু। যেহেতু অনীক বাঙালি। একটা গল্প বলে শেষ করি শুনুন, ফেম গুরুকেলে অরিজিৎ ৬ষ্ঠ হয়েছিলো । কেকে, শঙ্কর মহাদেবণ, জাভেদ আখতার, সব জাজেস প্যানেলে। তাদের সামনে দাঁড়িয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলে এসেছিলো, আপনারা যাকে খুশি প্রথম করুন। কিন্তু ট্যালেন্ট ওয়াইজ এখানে আমার ধারে কাছে কেউ নেই। এই ছিলো কনফিডেন্স লেভেল। পরবর্তীকালে শঙ্কর মহাদেবণ নিজে দেখা করে অ্যালবাম করায় ওকে দিয়ে। সুতরাং সবাই অরিজিৎ সিং হয় না।
পিবিএ/বাখ