আফগানিস্তানের ‘উন্মাদ যুদ্ধে’ যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত হওয়া উচিত ছিল না: ট্রাম্প

‘ট্রাম্পের অভিশংসনের সময় এসেছে

পিবিএ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে, তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে আসতে চান। তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, এই ‘উন্মাদ যুদ্ধে’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত হওয়া কখনোই উচিত ছিল না।

সি-স্প্যান টেলিভিশন নেটওয়ার্ককে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, আমরা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ চালিয়ে যাবো। আমরা সেনা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে যেতে চাই। আমি এই উন্মত্ত যুদ্ধগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে চাই যাতে জড়ানো আমাদের কখনোই উচিত ছিল না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের মিত্ররাও এখনই তালেবানের সাথে একটি চুক্তি করতে কাজ করছেন। আমি আশা করছি যে এই চুক্তিটি এমন একটি সিদ্ধান্তের দিকে নিয়ে যাবে যা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের অনুমতি দেবে।

বৃহস্পতিবার তালেবানের এক মুখপাত্র সুহেল শাহীন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান গত আট মাস ধরে যে চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে তা চূড়ান্ত করার কাছাকাছি চলে এসেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই চুক্তিটি আফগানিস্তানে বিদেশী সামরিক উপস্থিতির সমাপ্তি ঘটাবে। তবে তিনি খুব দ্রুত সময়ে যুদ্ধবিরতির কথা অস্বীকার করেছেন।
দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে টেলিফোনে তালেবানের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা কাছাকাছি চলে আসছি। আলোচকরা চুক্তির ক্ষেত্রে সব বড় ইস্যুর ব্যাপারে কাছাকাছি আসতে পেরেছে।’

ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ঘোষণা করেছে যে বুধবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল পম্পেও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিকে টেলিফোন করেছেন এবং দুই নেতা একমত হয়েছেন যে ‘সমঝোতার মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান ঘটানোর প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার এখন সময় এসেছে’।

পম্পেও ফক্স নিউজে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সঙ্ঘাতের ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণরূপে কমিয়ে ফেলার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সত্যিকারের অগ্রগতি প্রত্যাশা করেছেন। চুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে অন্ত-আফগান শান্তি আলোচনা, যাতে আফগান সরকারও অংশ নেবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপটি হবে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও মিত্রবাহিনীকে প্রত্যাহারের সূচনা। এই সপ্তাহের শুরুতে ওয়াশিংটনের ইকোনমিক ক্লাবের পম্পেও মন্তব্য করেছিলেন যে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আফগানিস্তানের বিষয়টি সমাধান করতে চান ট্রাম্প।

পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...