ভালুকায় ১২০ বছরের বৃদ্ধার পেটে, ৭ কেজি ওজনের টিউমার অপসারণ

পিবিএ,ময়মনসিংহ: ভালুকা সদরের খোদেজা হালিম হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে অপারেশনের মাধ্যমে আয়েশা বেগম (১২০) নামে এক শতবর্ষী ঊর্ধ্ব বৃদ্ধার পেট হতে প্রায় ৭ কেজি ওজনের টিউমার অপসারণ করা হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকালে । হাসপাতাল সূত্রে জানাযায় উপজেলার কংশেরকুল গ্রামের মরহুম পীরে কামেল জাহিদুল হকের(রঃ) স্ত্রী আয়েশা বেগম (১২০) দীর্ঘদিন যাবৎ পেটে টিউমার থাকায় অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে প্রথমে ময়মনসিংহ স্বদেশ হাসপাতালে,পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল হাসপাতালে, পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল,সব শেষ স্কয়ার হাসপাতালে এ টিউমার অপারেশনের জন্য ভর্তি করা হয়।

ওই সব হাসপাতালের ডাক্তারগণ বয়স জনিত কারণে অপারেশন করেনি। তাঁদের বক্তব্য অজ্ঞানের ঔষধ ব্যবহার করলে রোগীর ২০ভাগ জ্ঞান ফেরার সম্ভবনা তাই তারা অপারেশন করনে নি। জীবন মরন সন্ধিক্ষণে আয়েশা খাতুনের ভাই ও নাতীরা গত ২২জুলাই ভালুকা সদরের খোদেজা হালিম হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। ওই ক্লিনিকের ডা. ইমরুল কায়সার রোগীর হার্ড,কিডনীর অবস্থা ভাল থেকে আয়েশা বেগমের পরিবারের লোকজনকে জানান, তিনি ঝুঁকি নিয়ে এ অপারেশন করতে পারবেন।

বৃদ্ধার পরিবারের সম্মতিক্রমে বৃহস্পতিবার বিকাল (১আগস্ট) সাড়ে ৩ টায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক সার্জন ডা. মোস্তফা জাহিদ কামাল বিপু ও তাঁর সহযোগিতা সহকারী সার্জন ডা.মাহবুব, অজ্ঞানের ডাক্তার হিসাবে সহযোগীতা করেন ডা. ইমরুল কায়সার। তিনজন ডাক্তার প্রায় এক ঘন্টা সফল অস্ত্রপচারের মাধ্যমে রোগিনীর পেট থেকে প্রায় ৭ কেজি ওজনের টিউমার অপসারণ করেন। অপারেশনের পর বৃদ্ধা সম্পুর্ণ সুস্থ রয়েছে। রোগীনির নাতী মাওলানা এশফাকুর রহমান জানান, আমাদের দাদী মৃত্যুর পথ যাত্রী ছিল, ময়মনসিংহ ও ঢাকার নামীদামি হাসপাতালের কোনো ডাক্তাররা অপারেশনের সাহস করেনি।

আমরা দেখতেছি আমাদের দাদীকে বাড়িতে নিয়ে গেলেই মারা যেতে পারেন। তাই ডাক্তারের পরামর্শে ঝুঁকি নিয়ে ডাক্তার সাহেবকে অপারেশনের অনুমতি দিয়েছি। আমার দাদী এখন ইনশাল্লাহ ভাল আছেন। ডা.ইমরুল কায়সার বলেন,আমি ছাত্র জীবন থেকেই ঝুঁকি নিতে পছন্দ করি। আমি দেখতেছি আমার হাসপাতাল থেকে শতবর্ষী ঊর্ধ্ব রোগিনী বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেন। ওই হার্ড,কিডনী সাবই ভাল ছিল তাই ঝুঁকি নিয়ে অপারেশন করে ফেলেছি। রোগিনী এখন ভাল আছেন।

পিবিএ/আলী আকবর সাজু/বিএইচ

আরও পড়ুন...