সঙ্গীর ‘প্রাক্তনের’ সাথে বন্ধুত্ব?

পিবিএ ডেস্কঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যা হয় আর কি, প্রেমিক বা প্রেমিকা ( স্বামী বা স্ত্রী)-র ‘প্রাক্তন’-কে ঠিক সহ্য করতে পারাটা মুশকিল হয়ে যায়। এটা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রবণতা। এই প্রবণতা থেকে মুক্ত মানুষের সংখ্যাও যে নেহাত কম তা নয়। কিন্তু যাঁরা ‘তাঁর’ প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধু পাতিয়ে ফেলতে পারেন, তাঁদের সংখ্যা কিন্তু খুব বেশি নয়।

এখন প্রশ্ন হল এই বন্ধুতা ভাল না মন্দ? ‘‘যদি আপনার পার্টনার ও তাঁর প্রাক্তনের মধ্যে সম্পর্কটা নিছকই প্লেটোনিক বন্ধুত্বের জায়গায় রয়েছে এবং কোনওভাবেই ভবিষ্যতে তাঁদের সম্পর্ক জোড়া লাগার কোনও সম্ভাবনাই নেই, তবে প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিলে তা ভালই। সবটাই নির্ভর করছে বর্তমান সম্পর্কের কেমিস্ট্রির উপর।’’

পার্টনারের প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার বেশ কিছু উপকারিতাও রয়েছে—

১. পার্টনারের পছন্দ অপছন্দগুলো আড়ালে আর একবার তাঁর প্রাক্তনের সঙ্গে ঝালিয়ে নেওয়া যায়।

২. কোন কোন পরিস্থিতিতে আপনার পার্টনার কীভাবে রিঅ্যাক্ট করতে পারেন, সেই ব্যাপারেও আপনাকে সম্যক ধারণা দিতে পারে আপনার পার্টনারের প্রাক্তন।

৩. যদি ‘প্রাক্তন’ সত্যিই ক্ষতিকারক না হয়ে থাকেন, তবে মাঝেমধ্যে দু’একটা দায়িত্ব তাঁর দিকে ঠেলে দেওয়া যায়। এই যেমন পার্টনারকে এয়ারপোর্ট বা রেলস্টেশন থেকে পিক আপ করা, এমার্জেন্সিতে তাঁর সাহায্য নেওয়া ইত্যাদি।

৪. সম্পর্কে কী কী ধরনের ঝড় উঠতে পারে, সেই ব্যাপারে কিন্তু আপনাকে সতর্ক করতে পারে আপনার পার্টনারের ‘প্রাক্তন’-ই।

কিন্তু এই সম্পর্কগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীল ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে থাকে। তাই খুব বুঝেশুনে বন্ধুতার হাত বাড়ানো উচিত। যদি আপনার পার্টনারের প্রতি তাঁর প্রাক্তনের মনে এখনও ‘প্রেম’ থেকে থাকে, তবে বিদ্বেষের আগুন জ্বলতে কিন্তু বেশি সময় লাগবে না। বেশ কিছু ক্ষেত্রে এমনটা হয় যে ‘প্রাক্তন’ ভাল বন্ধুর মুখোশ পরে থেকে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেন নতুন সম্পর্কটাকে ভেঙে দিতে।

এমনটা নাও হতে পারে যে আপনার সঙ্গে সম্পর্কটা ভাঙলে আপনার পার্টনার আবারও তাঁর প্রাক্তনের কাছে ফিরে যাবেন। কিন্তু প্রতিহিংসাপরায়ণতায় মানুষ অনেক অনৈতিক কাজ করতে পিছপা হয় না। তাই মোদ্দা কথা হল, বন্ধুতা বিষয়টা খারাপ নয় মোটেই কিন্তু সেই ‘প্রাক্তন’ বন্ধুত্বের উপযোগী মানুষ কি না সেটা ভাল ভাবে বিচার করে তবেই বন্ধুতার দিকে এগনো ভাল।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...