নাব্যতা সংকটে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র

পিবিএ,গাইবান্ধা: যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে ইতোমধ্যে ৫০টি খেয়াঘাট বন্ধ রয়েছে। এতে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ২০ লক্ষাধিক মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গাইবান্ধা জেলার ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর বর্তমানে নাব্যতা সংকটের কারণে গভীরতা কমতে শুরু করেছে। এ কারণে ৫০টি খেয়াঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর ওই সব নদীর বুকে জেগেছে চর। বালুচরের মধ্য দিয়েই পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। তবে মাঝে মাঝে দু’একটি ঘোড়ার গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, এখন শুকনো মৌসুমে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের বুকে সহস্রাধিক চর জেগে ওঠায় নদীগুলো বহুবিধ শাখায় উপনীত হয়েছে। এ কারণে ওই পথে চলাচলকারী নৌকাগুলোকে অনেকটা পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। এতে যেমন বেশি সময় লাগে, তেমনি নৌ চলাচলে ব্যয়ও বেড়ে যায়।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তী কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী, চিলমারী, রাজিবপুর, গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও সদর উপজেলা, বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা এবং জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুরের যোগাযোগের প্রধান পথই হচ্ছে ওই নৌরুটটি। নদী পথে ওইসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ নিয়মিত যোগাযোগ, ব্যবসা বাণিজ্য এবং অফিস আদালতের কাজে যাতায়াত করে। এতে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে প্রায় ২০ লক্ষাধিক মানুষ।

পিবিএ/ইএইচকে

আরও পড়ুন...