অটিজম কি? কেন হয়? লক্ষন ও প্রতিরোধে করনীয়

পিবিএ ডেস্কঃ বছর চারেকের ছেলেকে নিয়ে কোথাও যাওয়া রীতিমতো আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছিল। হঠাৎ করে বায়না জুড়ে দিত শিশুটি। আব্দার না মানা হলেই পরিত্রাহি চিৎকার। চমকে উঠতেন আশপাশের মানুষজন। দাবি আদায়ে রাস্তায় শুয়ে পড়া বা হাত-পা ছুড়তে গিয়ে অন্যের গায়ে লেগে যাওয়া ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে সহযাত্রীদের মুখে একরাশ বিরক্তি ঝরে পড়তে দেখতেন তারা। সমস্যাটা কোথায়, বুঝতে কিছুটা দেরি হয়েছিল তাঁদের। ওই পরিবারটিকে চিকিৎসকেরা জানান, অটিজ়মের শিকার শিশুটি।

মূলত তিনটি জায়গায় এমন রোগীদের সমস্যা হয়— অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ, সামাজিক বোধ এবং শেখার ধরন। ‘অটিজ়ম বিশেষজ্ঞের মতে, ‘‘আমরা বেশি প্রশ্ন করতে নিষেধ করি বাবা-মাকে। ছবি এবং মডেল দেখিয়ে ওদের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করা হয়। কোনও যন্ত্র নয়, কিছু সাধারণ খেলনা, মডেল, ছবি আর ওদের বুঝতে পারার ক্ষমতা, এ সবের মাধ্যমেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।’’

সমবয়সিদের থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা, ডাকলে সাড়া না দেওয়া, ঘুমের সমস্যার মতো অটিজ়মের সাধারণ লক্ষণ দেখেই সতর্ক হয়েছিলেন তার মা। তাঁর কথায়, “কিছু মুখে বলা বা অক্ষরের থেকে ওরা অনেক বেশি বোঝে ছবি দেখে। যেমন গানের কিছু জিনিস ও কম্পিউটার দেখিয়ে জানতে চাইলাম, ‘এক ঘণ্টার অবসরে কোনটা করবে?’ দ্রুত উত্তর দেবে। কিন্তু কোনও প্রশ্ন করুন, উত্তর আসবে না।”

চিকিৎসকদের মতে, পাঁচ বছরের মধ্যে অটিজ়ম চিহ্নিত করা গেলে এবং থেরাপি শুরু হলে ভাল ফল পাওয়া যায়। সুতরাং দ্রুত সমস্যা চিহ্নিত করা এবং উপযুক্ত থেরাপি এই লড়াইয়ের অস্ত্র। তবে এখনও অটিজ়মের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। কিছু ক্ষেত্রে অটিস্টিকদের বাবা-মায়েরাই এগিয়ে আসছেন। এ ভাবে বাবা-মায়েদের এগিয়ে আসাকে উৎসাহিত করছেন চিকিৎসকেরা।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...