লাল নোটিশকে পাত্তা না দেয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে ৮ মন্ত্রীকে তাড়ানো হলো

পিবিএ ঢাকা: সংসদীয় কমিটির লাল নোটিশ ও প্রধানমন্ত্রীর হুমকিতেও এমপি হোস্টেলের (ন্যাম ভবন) বাসা ছাড়ছিলেন না মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্য।

শেষপর্যন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই ফ্ল্যাটগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে বাসা ত্যাগ করতে বাধ্য হলেন দুইজন মন্ত্রী, ৫ জন প্রতিমন্ত্রী ও একজন উপমন্ত্রী। তবে এখনো একজনের ফ্ল্যাটের চাবি বুঝে পায়নি সংসদ সচিবালয়।

গত সপ্তাহে মানিক মিয়া এভিনিউ-২ নং ভবনের ৯০৩, এর ৪ নং ভবনের ৪০১, ৬নং ভবনের ৯০২ সহ কয়েকটি ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় গণপূর্ত বিভাগ। ফলে তারা ওই বাসাগুলো ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।

এর আগে তাদের বাসা ছাড়তে সংসদীয় কমিটি থেকে লাল নোটিশ দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু কোনোভাবেই বাসা না ছাড়ায় সর্বশেষ সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই ফ্ল্যাটগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে বাসা ছাড়লে একটি ফ্ল্যাটের চাবি এখনো বুঝে পায়নি সংসদ সচিবালয়।

জানা যায়, গেল ডিসেম্বর নির্বাচনের পর গঠিত নতুন সরকারে মন্ত্রিপরিষদে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর অনেকে মন্ত্রিপাড়ায় বাসা নিয়েছেন। তারা একই সঙ্গে এমপি হোস্টেলের বাসা দখলে রাখেন। ওইসব বাসায় আত্মীয়-স্বজন, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাকর্মীদের থাকতে দেখা যায়।

উল্লেখ্য, আইন প্রণেতাদের আবাসস্থল ‘এমপি হোস্টেল’ হিসেবে ব্যবহৃত হয় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউস্থ ন্যামফ্ল্যাটের ৬টি ও নাখাল পাড়াস্থ পুরানো এমপি হোস্টেলের ৪টি ভবন।

সেখানে ছোট-বড় দুই ধরণের ফ্ল্যাট রয়েছে। এরমধ্যে প্রথমবার নির্বাচিতদের এক হাজার ২৫০ বর্গফুট ও একাধিকবার নির্বাচিতদের এক হাজার ৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এরমধ্যে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ২১৬টি ও নাখালপাড়ায় ৯১টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর মন্ত্রিপাড়ায় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের জন্য পৃথক আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...