কাশ্মীর ইস্যুতে জেদ্দায় ওআইসি’র জরুরী বৈঠক

পিবিএ ডেস্ক: কাশ্মীরে জরুরি অবস্থা জারি করে এবং সেখানকার রাজনৈতিক দলের নেতাদের গৃহবন্দি করে রেখে রাজ্যটিতে কয়েক দশক ধরে আরোপিত বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

তাই কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার এক বৈঠক ডেকেছে মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্তর্জাতিক সংগঠন অরগ্যানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর মঙ্গলবার জানিয়েছে, জেদ্দায় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)’র সরকার কাশ্মীরের শেষ স্বাধীনতাটুকুও হরণ করে করে নেয়।

প্রায় সাত দশক ধরে কাশ্মীরের জনগণ এর আওতায় ছিল। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ এবং ৩৫-এ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারাতে হলো জম্মু ও কাশ্মীরকে।

এক টুইট বার্তায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ড. মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশী কাশ্মীর ইস্যুতে আজকের বৈঠকে পাকিস্তানকে তুলে ধরবেন।

জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে নিন্দনীয় এবং অবৈধ বলে উল্লেখ করে মোহাম্মদ ফয়সাল জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখার বিষয়ে আজ জেদ্দায় ওআইসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গত রোববার ওআইসির তরফ থেকে জম্মু-কাশ্মীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

সোমবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয় যে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা-সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলে ভারতের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, কাশ্মীর আন্তর্জাতিকভাবে বিতর্কিত অঞ্চল হিসেবেই পরিচিত।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই বিতর্কিত অঞ্চলের অংশ হিসেবে ভারতের অবৈধ পদক্ষেপ রুখতে সব ধরনের বিকল্প উস্থাপন করবে পাকিস্তান। কাশ্মীর উপত্যকা নিয়ে আলোচনা করতে পাকিস্তানের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা এবং রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ওআইসিকে আহ্বান জানিয়েছে।

ভারত বিশ্বের শান্তি নিয়ে ধ্বংসাত্মক খেলায় মেতে উঠেছে বলেও উল্লেখ করা হয়। এসব সংগঠন এবং নেতৃত্বের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, দক্ষিণ এশিয়ার দেড় বিলিয়নেরও বেশি মানুষ ওই অঞ্চলে ভারতের আগ্রাসনের কারণে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।

পিবিএ/ ইকে

আরও পড়ুন...