বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে জাহাঙ্গীরের মত জনপ্রতিনিধি প্রয়োজন

শতাব্দী আলম: ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।’ এই নীতি বাক্য পড়তে শুনতেই আমরা বেড়ে উঠেছি। গুটিকয়েক জন রাজনৈতিক ব্যক্তি জীবনভর নীতি আদর্শ মেনে মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। যে কারণে এখনো দেশটা টিকে আছে। আর সব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সর্বজনবিদিত চরিত্রই হচ্ছে উনারা আ স দিবেন পরে তা বেমালুম ভুলে যাবেন। অথবা আল্লাহর মাল আল্লায় নিয়ে গেছে বলে দায়িত্ব এড়াবেন। অধিকাংশের ভাব চরিত এমনই, বর্তমান প্রজন্মের বেলায়ও এর ব্যতিক্রম নয়। এদের মাঝে দু একজন রয়েছেন যারা তরুণ বয়সেই অনুকরণীয় নজির গড়ছেন। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তাদেরই একজন। সিটি মেয়র হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে নগরবাসীর প্রকৃত সেবক হিসাবে দিনরাত পরিশ্রম করছেন। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নগরবাসীর সেবক হিসাবে ভুমিকা রাখছেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বক্তৃতা বিবৃতিতে কথার ফুলঝুড়িতেই সীমাবদ্ধ নন, সময়োপযোগী কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সিদ্ধহস্ত।
সাম্প্রতিক সারাদেশে এডিস মশার বিস্তার ও ডেঙ্গু রোগে মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক। রাজধানী ঢাকাতে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। কিন্তু ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র এডিস মশার বিস্তার রোধে তেমন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেননি। ঢাকা সিটিতে ব্যবহৃত মশার ঔষধ অকার্যকর প্রমাণিত। গাজীপুর সিটি মেয়র দ্রুত সিঙ্গাপুর থেকে কার্যকর ও আর্ন্তজাতিক মানের মশার ঔষধ আমদানি করেছেন। প্রায় ১৪০ টন ঔষধ আনা হয়েছে। আমরা গাজীপুরবাসী ইতিমধ্যেই এই ভেবে স্বস্তিতে আছি যে দ্রুতই এডিস মশার লার্ভা নিধন হবে।
আশার কথা হচ্ছে মেয়র ঘোষণা দিয়েছেন দেশের যে কোন এলাকা থেকে চাইলে তিনি বিনামূল্যে এই ঔষধ সরবরাহ করবেন। তিনি প্রমাণ করলেন একজন জনপ্রতিনিধি চাইলে যে কোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। শুধুমাত্র ফটোশেসনের জন্য একদিন জনসচেতনতা অনুষ্ঠান বা র‌্যালিও তিনি করেননি। নিয়মত প্রতিদিন নগরের কোথাও না কোথাও এমন কর্মসূচি করছেন।
কোরবানির গরুর হাট ও এর আশপাশে পরিবেশ যেন মশার চারনভুমি না হয় সেদিকেও তিনি সজাগ। নিজে গরুর হাটে উপস্থিত হয়ে ইজারাদারদের সর্তক করেছেন। কোনভাবেই যেন হাটের আবর্জনা আশপাশে জমা না করা হয়। ইজারাদার নিজ দায়িত্বে নির্দ্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা ফেলবে।
এটাও মনে রাখতে হবে মেয়র চাইলেই সব কিছু সমাধান হবে না। যতক্ষন নাগরিক হিসাবে আমাদের সচেতনতা সৃষ্টি না হচ্ছে। আমরা নিজ দায়িত্বে বসত বাড়ি, বাড়ির ছাদ এবং আশপাশের নর্দমা পরিস্কার রাখতে পারি। আসুন একজন কর্মক্ষম মেয়রের পদাঙ্ক অনুসরণ এবং অনুকরণ করি। তবেই আমাদের নগরের পরিবেশ সুষ্ঠু, সুন্দর ও বাসযোগ্য হবে।

লেখক: সাংবাদিক ও সাহিত্যিক

পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...