পিবিএ,নরসিংদী: ন্যায্য মূল্য না পাওয়া গেলে ২০০/৩০০ টাকায় কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি না করে মাটিতে পুঁতে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মাধবদী থানা ওলামা পরিষদের সভাপতি ও বাজার বড় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোঃ মকবুল হোসাইন সাহেব।
শনিবার বিকালে এ বিষয়ে জানতে চাইলে খতিব মকবুল হোসাইন বলেন ইতমধ্যে শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায়ও মুসল্লিদের এ আহ্বান জানানো হয়েছে। পশুর চামরা কেন মাটিতে পুতে রাখতে হবে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুগযুগ ধরে দেশে ইমাম, মুফতী, মুহাদ্দিসসহ হাক্কানী আলেম ওলামা তৈরির প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কওমী মাদ্রাসাগুলোর অন্যতম আয়ের উৎস হিসেবে পরিগনিত হয়ে আসছে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রয়।
তাই মুসলমানদের বিশেষ এ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটিকে আর্থিক সঙ্কটে ফেলতে ইসলাম বিদ্বেষীরা পরিকল্পিতভাবে সিন্ডিকেট করে গত কয়েক বছর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার দাম কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আল্লাহ সহায় থাকলে তাদের এ চক্রান্ত কোন কাজে আসবেনা।
তিনি আরো বলেন- “গত বছর চামড়া বিক্রয় খাত থেকে মাধবদী দারুল উলুম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় কাক্সিক্ষত অর্থ আসেনি, তাই বলে এখানকার মাদ্রাসা শিক্ষা থেমে থাকেনি। বরং আরো ভালো চলেছে।
এবারও থেমে থাকবেনা ইনশাআল্লাহ। তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন- ন্যায্য মূল্য না পাওয়া গেলে প্রয়োজনে চামড়া মাটিতে পুঁতে রাখবেন। চামড়া পঁচে সার হবে। তার উপর নারিকেল গাছ লাগাবেন। ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
তবু ইসলাম বিদ্বেষীদের কাছে নিম্নমূল্যে চামড়া বিক্রি করে তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবেন না। এভাবে কয়েকবছর তাদেরকে চামড়া না দিলে এমনিতেই তারা ষড়যন্ত্র বন্ধ করে চামড়ার ন্যায্য মূল্য দিতে বাধ্য হবে।
এসময় সকল মুসুল্লিরা সমস্বরে উনার কথায় সমর্থন করেন। প্রসঙ্গত, বাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম চড়া থাকলেও গত বছর থেকে চামড়ার দাম আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পায়।
পিবিএ/খন্দকার শাহিন/ইকে