পিবিএ: গতকাল বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আরাফাতের ময়দানে একত্রিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে।
‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আরাফাতের ময়দান মুখরিত করে তোলেন ২৫ লাখ মানুষ। এদের মধ্যে বাংলাদেশী ছিলেন প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার।
পবিত্র কাবা শরিফ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মিনায় জড়ো হওয়ার মাধ্যমে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন হাজিরা। শুক্রবার সারা দিন ও রাত তারা অতিবাহিত করেন ইবাদত-বন্দেগির মধ্যে। হজের মূল আনুষ্ঠানিকতার জন্য গতকাল ভোরের আগেই তারা সমবেত হতে থাকেন আরাফাতের ময়দানে।
হজের আনুষ্ঠানিকতা পূরণের জন্য আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এজন্য যারা এবার হজব্রত পালন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদেরও অ্যাম্বুলেন্সে করে স্বল্প সময়ের জন্য আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হয়।
মসজিদে নামিরাহ থেকে এবার হজের খুতবা পড়েন শেখ মুহাম্মদ বিন হাসান আল-শাইখ। এ খুতবা রেডিও ও টেলিভিশনে বিশ্বব্যাপী সম্প্রচার করা হয়। সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদ ও গবেষণা-মুফতি বোর্ডের সদস্য এবং খাদেমুল হারামাইন শরিফাইন হাদিস কমপ্লেক্সের পরিচালক শেখ মুহাম্মদ বিন হাসান আল-শাইখ খুতবায় বলেন, মহান আল্লাহর আদেশ কখনো পরিবর্তন হয় না। তিনি মানুষ ও জিন জাতিকে তার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন।
খুতবায় শেখ মুহাম্মদ বিন হাসান আল-শাইখ আরো বলেন, পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালার রহমতের কথা বারবার বলা হয়েছে। আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরাই মুক্তির একমাত্র উপায়। এছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।
হজের খুতবার পর উপস্থিত হাজিরা আরাফাতের ময়দানে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করেন। আরাফাত থেকে মিনায় ফেরার পথে গতকাল সন্ধ্যায় মুজদালিফায় মাগরিব ও এশার নামাজ পড়েন তারা। মুজদালিফায় রাতে অবস্থানের সময় তারা পাথর সংগ্রহ করবেন, যা মিনায় আজ সকালে প্রতীকী শয়তানকে লক্ষ্য করে ছোড়া হবে। এরপর সকালে কোরবানি দিয়ে ইহরাম ত্যাগ করবেন হাজিরা। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন তারা।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের সময় অনুযায়ী প্রতি বছরের ৯ জিলহজ আনুষ্ঠানিকভাবে পবিত্র হজ পালন করা হয়।
পিবিএ/ইকে