পিবিএ ডেস্ক : শীতে সাধারণ ঠান্ডা লাগা, সর্দির অসুখ থেকে দূরে রাখে যে প্রাকৃতিক তরল, সেই জিনিসই দাম্পত্যসুখে ভেল্কি দেখাতে পারে। হাতের কাছেই মজুত এই জিনিসেই সক্রিয় যৌন হরমোন আছে। এর রাসায়নিক উপাদান রক্তবাহকে স্ফীত করে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়। রক্তবাহ বৃদ্ধিতে যৌন উদ্দীপনাও বাড়ে!
এ কথাই জানাচ্ছেন ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। সম্প্রতি যৌন সম্পর্কে প্রাকৃতিক উপাদানের গুরুত্ব নিয়ে করা একটি গবেষণায় এই ‘ম্যাজিক ফুড’-এর সন্ধান পেয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি ও যৌর স্বাস্থ্যকে সতেজ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে চাকভাঙা মধু।
পুরুষের যৌন হরমোন টেস্টোস্টেরণের ক্ষরণ ও বৃদ্ধিতে মধুর বিশেষ ক্ষমতা আছে বলে দাবি গবেষকদের। আবার মধুর অন্যতম উপাদান বোরন স্ত্রীদেহের যৌন হরমোন ইস্ট্রোজেন ক্ষরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যৌন হরমোনদের ক্ষেত্রে মধুর এই প্রভাবের কথা জেনে বিস্মিত গবেষকরাও।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তিন আউন্স মধুতেই লুকিয়ে আছে রতিসুখের জাদু! দেহের নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বিশেষ হারে বাড়িয়ে দেয় মধু। এতে উপস্থিত রাসায়নিকগুলি রক্তবাহকে স্ফীত করে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়। যৌনাঙ্গে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার ফলে শরীরে শক্তি উৎপন্ন যেমন হয়, তেমনই যৌন উত্তেজনাও বৃদ্ধি পায়।
গবেষণার প্রধান ড. ডেভিড বেনটনেরল মতে, ‘শারীরিক মিলনকে সুন্দর করে তোলার চাবিকাঠি আমাদের প্রকৃতিতেই মজুত রয়েছে। কোন কোন প্রাকৃতিক উপাদানের সে ক্ষমতা আছে, তা বুঝতেই এই গবেষণা। এর আগেও নানা পরীক্ষায় প্রমাণ হয়েছে তরমুজ বায়াগ্রাপ সমান কাজ করে। এ বার দেখা গেল, মধুও কিছু কম যায় না। মধু কেবল শারীরিকই নয়, মানসিক উত্তেজনা ও আনন্দও বৃদ্ধি করে। সঙ্গে যোগ হয় যৌন হরমোন ক্ষরণ। ফলে যৌনক্ষম হয়ে উঠতে বিশেষ সাহায্য করে এই মধু।’
ভারতসহ নানা দেশেই বিয়ের পর নবদম্পতিকে মিষ্টিমুখ করানোর সময় মধু খাওয়ানোর রীতি চালু আছে। কেবল সংস্কৃতি ও দেশগত বা ধর্মগত আচার পালনের জন্যই নয়, বিবাহ পরবর্তী জীবনে নবদম্পতির জীবনে শারীরিক সম্পর্কের উষ্ণতা বজায় রাখতেও এমনটা করা হয় বলেই মত অনেকের।
পিবিএ/জিজি