পিবিএ ডেস্ক: পুষ্টিকর খাবার হিসেবে ডিম ব্যাপক জনপ্রিয়। চটজলদি রান্না করা যায় বিধায় এটি সময়-সাশ্রয়ীও বটে। তবে ডিমের খোসা কি ফেলে দেন? অবজ্ঞা করবেন না। রূপচর্চা থেকে শুরু করে কত কাজেই না ব্যবহার করা যায় ডিমের খোসা।
ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজ এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিমের খোসার দারুণ ব্যবহারগুলো সম্পর্কে জানলে পিলে চমকে যাবে আপনার।
আসুন, জেনে নেওয়া যাক:
* কফির তেতো স্বাদ অনেকেরই ধাতে সয় না। তাই তেতো স্বাদকে কমিয়ে আনতে এর সঙ্গে এক চিমটি ডিমের খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। তবে সঙ্গে সঙ্গে চুমুক দেওয়া যাবে না। ডিমের খোসার গুঁড়ো থিতিয়ে নিচে পড়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর চুমুক দিয়ে দেখুন, কফির তিক্ততা অনেকটাই চলে যাবে।
* বাগানে পোকার উপদ্রবে আপনি কি অতিষ্ঠ? ডিমের খোসাই আপনাকে দিতে পারে সমাধান। বাগানের চতুর্দিকে, গাছের গোড়ায় ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন। এর পর থেকে পোকামাকড় ঠিকই গাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবে।
* ক্যালসিয়াম ও মিনারেলে ভরপুর ডিমের খোসা বাগানের মাটির উর্বরতা বাড়াতে দারুণ সহায়ক। তাই ডিমের খোসা গুঁড়ো করে বাগানের মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন। ভালো ফল পাবেন।
* মসৃণ, সজীব ত্বক কে না চায়! জেনে অবাক হবেন যে আপনার এই চাওয়া পূরণেও ডিমের খোসা দারুণ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।
একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এক বা দুটি ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার সেই প্যাক ১৫ মিনিট মুখে লাগান। তারপর আলতো ঘষে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের কালচে ভাব দূর হবে। ত্বক হবে আরো উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত। ব্রণ সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলবে এটি ব্যবহারে। তবে কোনোভাবেই সপ্তাহে দুবারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।
* বাসন পরিষ্কারের ঝক্কি নিয়ে ক্ষোভের অন্ত নেই অনেকেরই। এ ক্ষেত্রে সমাধান দিতে পারে ডিমের খোসা। এটি ব্যবহারে বাসনের পোড়া, চটচটে দাগ দ্রুতই বিদায় নেবে।
* রান্নাঘরের সিঙ্ক বা বেসিনের পাইপের ময়লা পরিষ্কারেও ডিমের খোসা! চোখ কপালে তোলার আগে পরীক্ষা করেই দেখুন। সিঙ্কে বা বেসিনের পাইপে ময়লা জমে পানি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় প্রায়ই। এ যন্ত্রণার হাত থেকে বাঁচতে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে সিঙ্ক বা বেসিনের ছাঁকনির মধ্যে দিয়ে দিন। তারপর অধিক পরিমাণে পানি ঢালুন। এবার দেখবেন ময়লা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গেছে।
ডিমের খোসায় থাকা কোলাজেন, গ্লুকোসামিন, হায়ালুরোনিক এসিড নিমেষেই ভিনেগারের সঙ্গে মিশে ব্যথা কমায় দারুণভাবে।
পিবিএ/এমএসএম