মুখে দুর্গন্ধ হলে কী করবেন?

পিবিএ,ঢাকা: যেকোনো গন্ধ আমাদের কাছে বিব্রতকর। মুখের গন্ধ আরো বেশি বিব্রতকর। সারা দিনই মুখ বিভিন্নভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। অনেক সময় নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ বা হ্যাঁলিটসিস গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যা আমাদের সামাজিক বা পেশাগত জীবনকে বিব্রত করে।

নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ

বেশির ভাগ সময় দুর্গন্ধ যুক্ত শ্বাস মুখের ভিতরই তৈরি হয়। এর অনেক কারণ রয়েছে। খাবার গ্রহণের পর দাঁতের ফাঁকে বা মুখে খাবারের কণা জমে থাকলে তা বাজে গন্ধের জন্য উৎস মনে করা হয়। উদ্বায়ী তেল যুক্ত খাবার, পেঁয়াজ, রসুন, মসলা জাতীয় খাবারগুলো হজম হওয়ার পর ঝাঁঝালো তেল রক্তে মিশে যায়, এরপর ফুসফুসে বাহিত হয় যা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে বের না হওয়া পর্যন্ত নিশ্বাসে গন্ধ যুক্ত হয়ে যায়। অপরিছন্ন দাঁত, মাড়ি বা মাড়ি রোগ, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া এসব কারণে দুর্গন্ধ হয়। এ ছাড়া অনেক সময় মুখ শুকনো থাকলে জিভের ওপর নানা ধরনের সালফার জাতীয় পদার্থের প্রলেপ থেকে এ ধরনের সমস্যা তৈরি হয় বলে ধারণা করা হয়। এ ছাড়া সাইনাসের সংক্রমণ থেকে মুখে গন্ধ হতে পারে। তামাকজাত বস্তু যেমন বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, সেবনে মুখের ভিতর শুকিয়ে যায় এর ফলে অপ্রিয় গন্ধ তৈরি হয়। তামাকজাত বস্তু সেবনে মুখ ও মাড়ি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে যা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হয়।

প্রতিরোধ

এ ধরনের সমস্যা নিজেই সমাধান করতে পারেন। দাঁত, মাড়ি, জিভ মুখ পরিষ্কার রাখুন। জিভ পরিষ্কার রাখার জন্য আপনার টুথ ব্রাশের উল্টোপিঠ ব্যবহার করতে পারেন। তামাক জাতীয় দ্রব্য পরিহার করে খাবার তালিকায় টাটকা আঁশ যুক্ত খাবার, ফল, তরল খাবার বেশি রাখবেন। মাছ, মাংস, দুধ জাতীয় খাবার গ্রহণের পর মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার রাখুন। ভ্রমণ কিংবা অন্য যেকোনো সময়ে মুখ শুকনো রাখবেন না। মুখ শুকনো মনে হলে চুইংগাম চিবাতে পারেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...