পিবিএ ডেস্কঃ আর্থরাইটিস সারিয়ে তুলবে মৌমাছির বিষের তৈরি ইনজেকশন। ইঁদুরের ওপর চালানো গবেষণায় এমনই তথ্য প্রকাশ করছেন চিকিৎসা-বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ আর্থারাইটিসে ভুগছেন। আগামী দিনে তাদের জন্য এই চিকিৎসা পদ্ধতি নতুন আশার আলো হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা৷
জানা গিয়েছে, মৌমাছির বিষ থেকে নেয়া পেপটাইড দিয়ে খুদে ন্যানো পার্টিকেলস বা ন্যানোকণিকা তৈরি করেছেন গবেষকরা। খালি চোখে এগুলোকে দেখা যাবে না। মেলিটটিন নামের এই পেপটাইডে রয়েছে প্রদাহ-নাশক শক্তিশালী ক্ষমতা। যাতে দেহের নরম অস্থি ধ্বংস ঠেকানো সম্ভব হবে। গবেষকরা বলেছেন, ভয়াবহ দুর্ঘটনা বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে হাড়ে মারাত্মক আঘাত পাওয়ার পরই এটি দেওয়া হলে আর্থারাইটিস হওয়ার আশঙ্কা ঠেকানো যাবে।
এছাড়া, আর্থারাইটিসে দীর্ঘদিন ভুগছেন এমন রোগীকে এটি দেওয়া হলে তারও প্রচণ্ড বেদনাদায়ক পরিস্থিতির অবসান ঘটবে৷ হুল ফোটানোর পর তীব্র যন্ত্রণা হয়। মৌমাছির বিষের কারণেই এমনটি হয়। এই বিষ নিরাপদে সরাসরি মানব শরীরে ঢোকানোর পথ পাওয়া যাচ্ছিল না। কারণ দেহে ঢোকানোর পর তা তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। মারাত্মক এ অ্যালার্জির কারণে জীবন নিয়ে টানাটানিও লেগে যেতে পারে।
ন্যানো প্রযুক্তির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। খালি চোখে দেখা যায় না এমন ন্যানো কণিকার মধ্যে পুরে দেওয়া হয়েছে মৌমাছির বিষের পেপটাইড মেলিটটিন। আর একবার এটি ঢোকানো হলে কয়েক সপ্তাহ ধরে তার সুপ্রভাব দেহে বজায় থাকবে তাও দেখতে পেয়েছেন গবেষকরা। মৌমাছির বিষ নিয়ে গবেষণায় এ সাফল্য অর্জন করেছেন সেইন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকরা।
মৌমাছির বিষ দিয়ে ইনজেকশন তৈরিতে সহায়তা করেছেন অধ্যাপক স্যামুয়েল উইকলাইন। অবশ্য এখনও মানব দেহে এ চিকিৎসার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হয় নি।
পিবিএ/এমআর