পিবিএ ডেস্ক: সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলসের বিউটিকন ফেস্টিভ্যাল মঞ্চে এক পাকিস্তানি তরুণীর প্রশ্নের উত্তরে দেশভক্তির বাণী দিয়ে ভারতীয়দের মন জয় করেছিলেন দেশি গার্ল। বিষয় ছিল, পাকিস্তানের উপর পরমাণু হামলা। যে কারণে ওই পাক তরুণীকে একহাত নিয়েছেন বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সেই ঘটনার জেরে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন এবার প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে জাতিসংঘের দূতের পদ থেকে সরানোর দাবি তুললো।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জাতিসংঘ সমর্থিত বিশ্বের শান্তি দূত। আর এতেই আপত্তি পাক সরকারের। পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন জাতিসংঘের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন পাকমন্ত্রী শিরিন মাজারি। সেখানে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূতের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সুপারিশ। তাদের মতে, একজন শান্তির দূতের যেরকম আচরণ হওয়া উচিত প্রিয়াঙ্কা তার অন্যথা করেছেন। পরমাণু হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি মোটেই শান্তির দূতের আচরণ করেননি।
জাতিসংঘে পাঠানো চিঠিতে লেখা, ‘শ্রীমতি প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সাম্প্রতিক মন্তব্যে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাকে আপনারা জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। বিজেপি সরকারের কাজকর্ম একেবারে নাৎসি মতাদর্শের মতো। ৩৭০ ধারা বিলুপ্তিতে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে কাশ্মীরি মুসলমানদের জাতিগতভাবে নির্মূলকরণের কাজ চলছে। আর প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এই ভারত সরকারের এমন কার্যকলাপকেই তুলে ধরে বীরত্ব প্রদর্শন করছেন।
এমনকি পাকিস্তানকে দেওয়া ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরমাণু হুমকিকেও সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। যা একজন শুভেচ্ছা দূতের আচরণ হওয়া উচিত নয়। তাই অবিলম্বে তাকে জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূতের পদ থেকে অপসারন না করা হলে, বিশ্বব্যাপী এই পদের গুরুত্ব ক্ষুণ্ণ হবে এবং তা একপ্রকার বিদ্রূপ হয়ে উঠবে সবার কাছে।
সম্প্রতি, এক পাক তরুণী প্রিয়াঙ্কার উদ্দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, ‘জাতিসংঘের শান্তির দূত হিসেবে আপনি মঞ্চে বসে পাকিস্তানে পরমাণু হামলার কথা বলছেন! এছাড়া অবশ্য আপনার আর কিছুই করার নেই। আমরা আপনার অবস্থা বুঝতে পারছি। এটাই আপনার ব্যবসা।’ তার উত্তরে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘পাকিস্তানে আমার প্রচুর বন্ধু রয়েছেন। যুদ্ধ কোনো সমস্যার সমাধান নয়। আমিও যুদ্ধের পক্ষপাতী নই। কিন্তু সবার আগে আমি ভারতীয়। এবং একনিষ্ঠ একজন দেশভক্ত। নিশ্চয়ই এর কোনো না কোনো সমাধান সূত্র বেরোবে। আমরা ততদিন অবশ্যই ধৈর্য ধরব। কারণ, আমরা সবাই যুদ্ধ নয় শান্তি, ঘৃণা নয় ভালোবাসার পক্ষে।
পিবিএ/বিএইচ