কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কাশ্মীরের ‘গাজায়’ বিক্ষোভ

পিবিএ ডেস্ক: কাশ্মীরে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও বিক্ষোভ চলছে। শুক্রবারে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসনের বাতিলের প্রতিবাদে কাশ্মীরের গাজাখ্যাত সৌরাপাড়ায় গত তিন সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয়রা। উপত্যকাটিতে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে এই পাড়াটিকে।-খবর রয়টার্স

শত শত স্থানীয় যখন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন, তখন পুলিশ সেখানে ঢোকার চেষ্টা করলে রুখে দেয়া হয়।

চলতি সপ্তাহে ভারত ও পাকিস্তানের জাতিসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর (ইউএনএমওজিআইপি) কার্যালয়ের দিকে বিক্ষোভের আহ্বান করে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। ভারত থেকে কাশ্মীরকে আলাদা করতে চাওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এই প্রথম কোনো এমন আহ্বান।

কাশ্মীর নিয়ে দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রথম যুদ্ধ হয় ১৯৪৯ সালে। এরপরেই ইউএনএমওজিআইপি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

ধাতুর পাত ও পাথর স্তূপ করে সৌরাপাড়ার সরু গুলি বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার জুমার পর স্থানীয় মসজিদ এলাকায় তারা বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন পুলিশের দিকে পাথর ছুড়ে প্রতিবাদ জানান তারা।

পুলিশও টিয়ার গ্যাস ও মরিচের গুঁড়ার গ্রেনেড(চিলি গ্রেনেড) নিক্ষেপ করে। কিন্তু প্রতিরোধের মুখে পড়ে পিছু হটে। ছররা গুলিতে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, নিরাপত্তা বাহিনী বারবার সৌরাপাড়ার ভেতরে ঢুকতে চেয়েছে। তারা টিয়ার গ্যাস ও ছররা গুলি ব্যবহার করেছ।

রৌফ নামের এক কাশ্মীরি বলেন, আমরা বাড়িতে কিংবা বাইরে-কোথাও নিরাপদ না। টিয়ার গ্যাসের ঝাঁজ থেকে রক্ষা পেতে তিনি নাকে-মুখে লবণ ঘষছিলেন।

শুক্রবার সকালে পাড়াটি শান্তই ছিল। দুপুরে নারী ও পুরুষরা দলবেঁধে স্থানীয় সবচেয়ে বড় মসজিদটিতে জুমা পড়তে যান। এরপর শুরু হয় বিক্ষোভ।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...