পাকুন্দিয়ায় আলুর বাম্পার ফলনে কৃষকেরা খুশি

পিবিএ,কিশোরগঞ্জ: আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও রোগ বালাই কম হওয়ায় এবং কৃষকদের আগাম সতর্কতামূলক পরামর্শ প্রদান করায় গত বছরের তুলনায় এবছর পাকুন্দিয়ায় আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত বছর যেখানে আলুর লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৪শ হেক্টর। সেখানে এবছর ১৫শ হেক্টর জমিতে ইতোমধ্যে আলু আবাদ হয়ে গেছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখনও অনেক চাষী আলুর আবাদ করছেন বলে জানা গেছে।

পাকুন্দিয়া পৌরসদরসহ নয়টি ইউনিয়নেই কমবেশী আলুর আবাদ হয়ে থাকে। তন্মেধ্যে জাঙালিয়া, চরফরাদী, এগারসিন্দুর, সুখিয়া ও চন্ডিপাশা ইউনিয়নে বেশি পরিমাণে আলু চাষ করা হয়।

সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি আলু জমিতে গিয়ে দেখা গেছে, লাল রঙের স্পীদ জাতের আলু অনেক এলাকায় উত্তোলণ উপযোগী হয়ে গেছে। কৃষকরা জমি থেকে আলু তুলে বাজারে নেওয়ার জন্য জমা করছেন। সাদা রঙের ডায়মন্ড জাতের আলু উত্তোলণ করতে আরও কিছুদিন লাগবে। তবে লাল রঙের স্পীদ জাতের আলু আগাম চাষাবাদ হয়ে থাকে এবং ৬০দিনের মধ্যে উত্তোলনের উপযোগী হয়ে পড়ে। আর ডায়মন্ড জাতের আলু আবাদ করতে সময় লাগে ৯০দিন। কয়েকজন আলু চাষী পিবিএকে জানান, লাল রঙের স্পীদ জাতের আলুর বাজার দাম ভাল। বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ লাল জাতের আলু ৭শ থেকে ৮শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ডায়মন্ড জাতের আলু বাজারে আসলে দাম কমবে বলেও পিবিএকে জানান তারা। এবার আলুর বাম্পার ফলন হওয়ায় বেজায় খুশি চাষীরা। তারা পিবিএকে জানান, গত বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় রোগ-বালাইয়ে আলু চাষে তেমন একটা লাভবান হওয়া যায়নি। তবে এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও রোগ বালাই কম হওয়ায় স্পীদ ও ডায়মন্ড উভয় জাতের আলুরই বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে তারা লাভবান হবেন।

উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিমুল হক সোহাগ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও আলু চাষীদের পর্যাপ্ত পরামর্শ দেওয়ায় এবছর আলুর ভাল ফলন হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল হাসান আল-আমিন পিবিএকে জানান, রোগবালাই নাশে এবছর কৃষকদের মাঝে আগাম পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলায় প্রায় তিন হাজার সর্তকর্তামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এতে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হওয়ায় শৈত্যপ্রবাহ থাকা সত্ত্বেও আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এবং রোগবালাইও নেই বললেই চলে। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে চাষাবাদে কৃষকদের পরামর্শ অব্যাহত থাকবে।

পিবিএ/এইচএইচ

আরও পড়ুন...